সব শঙ্কাকে সত্য করে এবার লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে লেবানন সীমান্তে ঢুকে পড়ে ইহুদিবাদী সেনারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলাটি সীমিত এবং নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। তবে থেমে নেই লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহও।
তারাও ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবস্থানকে কেন্দ্র করে অন্তত ১২টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা স্থল অভিযান শুরু করলেও তারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুধু উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা নয়, তারা ইসরায়েলি অবস্থান, সেনাবাহিনী ও বসতিকে নিশানা করে পৃথক ১২টি রকেট হামলা চালিয়েছে।
গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে কেবল দক্ষিণে নয়, বেকা উপত্যকাসহ দেশজুড়ে হিজবুল্লাহর স্থাপনাকে নিশানা করেছে। কেবল লেবানন নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে একাই অশান্ত করে রেখেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছেন গাজায়। সেই রক্তপিপাসা মেটার আগেই মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চাইছেন আরেক দেশ লেবাননকে। সেখানে দিনে রাতে ফেলা হচ্ছে টনকে টন বোমা। চোখের পলকেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আকাশচুম্বি সব ভবন। একযোগে গাজা এবং লেবাননে হামলা চালিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি নেতানিয়াহু। হায়েনার মতো চোখ পড়েছে আরেক মুসলিম দেশ ইয়েমেনেও। সেখানেও বিমান হামলা চালিয়েছে যাচ্ছেন তিনি।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দেশে এমন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরির মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে আমেরিকা। তাদের পাঠানো অস্ত্র আর বোমা নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে আবাসিক এলাকাগুলোতে। যদিও ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি আর হিজবুল্লার অবস্থান লক্ষ্য করেই কেবল হামলা চালাচ্ছে।