‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদ ও অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার কল্পিত বানোয়াট অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১২৪ মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল, সাহসী কলমযোদ্ধা মাহমুদুর রহমানকে কারামুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সাংবাদিক এম. শামীম বলেন, এ দেশে মাহমুদুর রহমানের মতো সাংবাদিককে জেল খাটতে হচ্ছে এটা চরম লজ্জার। মানুষ হিসাবে যতটা আমি লজ্জিত তার থেকে বেশি লজ্জিত একজন সাংবাদিক হিসাবে। আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য যারা কলম ধরেছিল আজকে তাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের দোষররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে বিভিন্ন কলকাটি নাড়ছে। শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে হত্যা চেষ্টার তার উপর মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। এটি প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি চাই। এর বিরুদ্ধে সকল সাংবাদিকের কন্ঠস্বর বাড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, মাহমুদুর রহমান কেবল একজন সাংবাদিক নন বরং সকল নির্যাতিত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি। তার বিরুদ্ধে ১২৪ টি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং দেশের ক্রান্তিকালে একাই লড়ে গেছেন। তিনি চাইলে আজ ক্ষমতা ব্যবহার করে জামিন নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
ফাহিম রেজা আরো বলেন, এদেশে শুধু মাহমুদুর রহমান নয় যে সকল সাংবাদিক সত্য লিখতে গিয়েছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদেরকে মামলা দিয়ে দমন করেছে। যে সকল সাংবাদিকরা ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নিয়েছিল তারা মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সেসময় যারা কলম ধরেছিল আজ তারা নির্যাতিত। জামিন নামঞ্জুর করে ওনাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা বলতে চাই, এই স্বাধীন দেশে অনতিবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে জামিনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল মিথ্যা মামলা খারিজ করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহা, সদস্য সচিব ইকরামুল হক মামুন, সদস্য হাফিজুর রহমান আবিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।