পাঁচ বছরের সন্তানের সামনে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর মাতৃমন্দির এলাকার এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে অস্ত্র-সহ আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের নাম প্রসেনজিৎ বারুই। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী মৈত্রী বারুইকে গুলি করে হত্যা করেছেন। বুধবার প্রসেনজিৎ বাড়িতে ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যেরাও বাড়িতে ছিলেন। হটাৎ প্রসেনজিতের ঘর থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। গুলির শব্দে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রসেনজিতের বাবা পরিমল বারুই। তিনি দেখেন বৌমার গলার কাছ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তড়িঘড়ি গৃহবধূ মৈত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কোন্নগর কানাইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুলি চালানোর খবর পেয়ে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ প্রসেনজিতের বাড়িতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাকে আটক করে।
অভিযুক্তের বাবা জানান, যখন বৌমার উপর গুলি চালানো হয়, তখন পাঁচ বছরের নাতি ওই ঘরেই ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘পটকা ফাটার মতো একটা শব্দ হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম, পটকা ফাটছে। পরে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড! নাতির সামনেই এই ঘটনা ঘটে।’’ তাঁর দাবি, ছেলে-বৌমার মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না। কোনও অশান্তির কথাও তিনি জানতেন না। পরিমল বলেন, ‘‘ছেলে-বৌমায় খুব মিল ছিল। তা ছাড়া ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল, সেটাও জানি না।’’
পুলিশ বলছে, যে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি আধুনিক মানের। অভিযুক্ত পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অস্ত্রটি তিনি পুকুর থেকে কুড়িয়ে পেয়েছেন। কিন্তু কেন স্ত্রীকে খুন করতে গেলেন, তার সদুত্তর দেননি।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অত্যাধুনিক অস্ত্র পুকুর থেকে পেলে সেটা ‘লোডেড’ থাকা সম্ভব নয়। আর যদি পেয়েও থাকেন, সেটা পুলিশকে জানাননি কেন? সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।