যুদ্ধ মানেই মৃত্যু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময়ে কিভের মেয়র সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধে কোনও দেশ জেতে না।’’ মৃত্যু সে কথা জানে। ইউক্রেন আজ ঘোষণা করেছে, যুদ্ধে অন্তত ১৯ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের মর্গে জমে রয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি দেহ। আজ আর বিপুল সংখ্যক সেনার মৃত্যু অস্বীকার করেনি রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, ‘প্রচুর ক্ষতি’ হয়েছে এই যুদ্ধে।
ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু সংখ্যা যদিও স্পষ্ট নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, দু’হাজারের কাছাকাছি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটা অনেক বেশি বলে দাবি খোদ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির। সম্প্রতি বুচায় ‘রাশিয়ার গণহত্যা’ খবরের শিরোনামে। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে রাশিয়াকে। এর মধ্যে বুচার একটি মর্মান্তিক ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যুদ্ধে নিহত এক মহিলার হাত। নখে সুন্দর করে নেল পালিশ পরা। সেই ম্যানিকিওর দেখে পরিচিত মহিলাকে চিনতে পারেন মেক-আপ আর্টিস্ট অ্যানাস্তেসিয়া সুবাচেভা। নিহতের নাম ইরিনা ফিলকিনা। বয়স ৫২। মেয়েদের পোল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ইরিনা। সাধারণ মানুষ ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে নিজে থেকে যান দেশে। শরণার্থী শিবিরে রান্না করে খাওয়াতেন। সেনাবাহিনীর দেখভাল করতেন। মার্চের শুরুতে তিনিও পালানোর কথা ভাবেন। বুচা থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সে দিনই প্রাণ হারান। বুচায় নিহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দফতরের উপদেষ্টা ওলেক্সেই অ্যারিস্টোভিচ আজ জানান, ১৯ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে যুদ্ধে। শুরুর দিকে তারা ৩ হাজার দেহ রাশিয়াকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মস্কো বলে, এত মৃত্যু হতেই পারে না। নিহত রুশ সেনাদের চিহ্নিতকরণের জন্য ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক একটি ওয়েবসাইট খোলে। গত কাল পেসকোভ স্বীকার করেছেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনীতে বিপুল প্রাণহানি হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর