ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশে ঘটে চলেছে। আর তা নিয়ে সমালোচনা, প্রতিবাদ, স্লোগান উঠলেও এই অপরাধ থামানো যাচ্ছে না। মানুষ এমন নারকীয় কাজ করেই চলেছে। তবে এবার এই নারকীয় অপরাধ থেকে এক খুদেকে রক্ষা করল বাঁদরের দল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। ৬ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করতে গিয়েছিল একজন ব্যক্তি বলে অভিযোগ।
যৌন হেনস্থা করতে পারলেও ওই বাঁদরের দল সেখানে ধেয়ে আসায় বেশি ক্ষতি করতে পারেনি ওই ব্যক্তি বলে জানা যাচ্ছে। বাঁদরের দলের হানায় ওই ব্যক্তি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মিরাটের বাগপাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে শিশুকন্যার পরিবার জানিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় রবিবার ওই আগন্তুকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুকন্যার পরিবার যে অভিযোগ দায়ের করেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ওই শিশু কন্যা যখন খেলছিল তখন ওই আগন্তুক ব্যক্তি মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। আর তার জামাকাপড় সব খুলে ফেলে। আর তাকে যৌন হেনস্থা করতে থাকে। যখন ধর্ষণ করতে যাবে ওই ব্যক্তি তখন বাঁদরের দল এসে হাজির হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই ব্যক্তি শিশুকন্যাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটি বাড়িতে পৌঁছে পরিবারকে সব ঘটনা জানায়। তখনই জানা যায় বাঁদরের দল প্রাণ বাঁচিয়েছে ওই শিশুকন্যার।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। মেয়েটির বাবা বলেন, 'আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে খেলছিল। তখন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি ওখানে আসে আর মেয়েকে নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তি নিকটবর্তী সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। আমার মেয়েকে সরু রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। তাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। যদি বাঁদরের দল ওখানে না আসত তাহলে আমার মেয়েকে এখন মৃত অবস্থায় মিলত।'
এছাড়া এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ যেমন তল্লাশি শুরু করেছে তেমন স্থানীয় মানুষজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। সকলেই এই ঘটনার নিন্দা করছে। আর বাঁদরের দলের প্রশংসা করছে। একজন জন্তু যদি শিশুর প্রাণ বাঁচাতে পারে তাহলে একজন মানুষ কেমন করে এতটা নারকীয় হয়? উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, এটাই ঈশ্বরের লীলা। বাগপাতের সার্কেল অফিসার হরিশ বাদোরিয়ার বক্তব্য, 'আমরা এই ঘটনার কথা শুনেছি। বাঁদরের দলের উপকারের কথাও কানে এসেছে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মেয়েটির অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে পাকড়াও করার কাজ চলছে।'