পেজার, ওয়াকি-টকির পর এবার মোবাইল! লেবাননে বিস্ফোরণ হতে শুরু করল মোবাইলেও। একসঙ্গেই বহু মানুষের মোবাইলে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ৩০০-রও বেশি মানুষ। এই বিস্ফোরণের পিছনেও ইজরায়েলকেই দায়ী করেছে হিজবুল্লা। আর কোথায় কোথায় এমন বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে, তা নিয়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
মঙ্গলবারই লেবাননের রাজধানী বেইরুট সহ একাধিক অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল সিরিয়াল ব্লাস্টে। সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা পেজারে বিস্ফোরণ হতে থাকে। রাস্তাঘাট-শপিং মলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকা দেহ। একইভাবে সিরিয়াতেও বিস্ফোরণ হয়। পেজার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হন। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলেই দাবি করে লেবানন।
গতকাল, বুধবার যখন বিস্ফোরণে হিজবুল্লা সদস্যদের শেষকৃত্য চলছে, সেই সময় ওয়াকি-টকি ও মোবাইল ফোনেও বিস্ফোরণ হয়। বেইরুট সহ দক্ষিণ লেবানন জুড়ে বিস্ফোরণ হয়। যেভাবে একসঙ্গে পেজার বিস্ফোরণ হয়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই ওয়াক-টকি ও মোবাইলেও বিস্ফোরণ হতে থাকে। সঠিক সংখ্য়া জানা না গেলেও, প্রায় শতাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
গোপন সূত্রে গতকালই জানা গিয়েছিল যে ইজরায়েলের গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ এই হামলার পিছনে রয়েছে। তাইওয়ান, যেখানে পেজারগুলি তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, পাঁচ মাস আগে মোসাদ সেখানে গিয়ে পেজারের মধ্যে বিস্ফোরক যুক্ত বিশেষ চিপ ভরে এসেছিল, যা কোডের মাধ্যমে সক্রিয় বা অ্যাক্টিভেট হয়। ওই কোড দিতেই একসঙ্গে সমস্ত পেজারে বিস্ফোরণ হয়।
সূত্রের খবর, ঠিক একই সময়ে লেবানন ওয়াকি-টকি ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন কিনেছিল তাইওয়ান থেকে। সেগুলিতেও বিস্ফোরণ হয়েছে।
ইজরায়েলের এই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই তারা ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে খবর। যুদ্ধের অভিঘাত আরও বাড়তে পারে।