ঢাকার সাভারে এক ব্যক্তিকে জবাই করা লাশ প্রতিবেশীর ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীর স্ত্রীকে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক দম্পত্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত রিপন কাজী (৩৮) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডীদাশদি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সাভারের হরিণধরা এলাকায় থেকে চেন কপ্পার ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিনধরা এলাকার জনৈক সুমন মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষে স্ত্রী লাইজু আক্তার ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন রিপন কাজী। তার পাশের কক্ষে থাকেন মাসুদুর রহমান (২৮) ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার (২৫)। মাসুদ সবজির ব্যবসা করেন। মাসুদের কক্ষ থেকে রোববার দিবাগত রাতে রিপন কাজীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিপনের স্ত্রী লাইজু আক্তার বলেন, শনিবার থেকে আমার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে তার হদিস করতে পারিনি। প্রতিবেশী মাসুদ ও তার স্ত্রী আমাকে সহযোগিতা না করে বরং তাদের কক্ষে তালা দিয়ে উল্টাপাল্টা ঘুরাঘুরি করতে থাকেন। তাদের এসব আচরণে আমার সন্দেহ হয়।
লাইজু আরও বলেন, সন্দেহ থেকে রোববার রাতে আমি তাদের ঘরের তালা খুলতে বলি। এসময় মাসুদ দৌঁড়ে পলিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তার স্ত্রী রহিমাকে আটক করে তাদের কক্ষের তালা খুলতে বাধ্য করি। এর পর ওই কক্ষে ঢুকে আামার স্বামীর জবাই করা লাশ দেখতে পাই।
সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর রোববার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় । এসময় মাসুদের স্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। সোমবার দুপুরে মাসুদকেও আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রিপন তার প্রতিবেশী মাসুদের স্ত্রীকে উত্যাক্ত করতেন। সম্ভবত এই ক্ষোভেই মাসুদ দম্পতি কৌশলে রিপনকে তাদের কক্ষে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে সোমবার সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মাসুদ ও তার স্ত্রী রহিমাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর মাসুদ ও তার স্ত্রীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছ।