টাইফুন 'ইয়াগি'র দাপটে বিপর্যস্ত মায়ানমার। অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ ৮৯। ঘরছাড়া প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছে সরকারি টিভি চ্যানেল। যেহেতু বহু অঞ্চলের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুদ্ধ ও অস্থির অর্থনীতির প্রকোপে এমনিতেই এই পড়শি দেশের পরিস্থিতি খারাপ। তার মধ্যে টাইফুনের দাপটে আরও করুণ হল সাধারণ মানুষের অবস্থা।
এদিকে টাইফুনের দাপটে ভিয়েতনাম, উত্তর থাইল্যান্ড, লাওসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ। বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার জানা গিয়েছিল, ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মায়ানমারে। কিন্তু সংখ্যাটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণের জন্য অন্য দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছে সেদেশের সরকার।
প্রতি বছরই বর্ষাকালে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বহু মানুষ প্রাণ হারান মায়ানমারে। ২০০৮ সালে নার্গিস সাইক্লোনে মারা যান ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ। তবে সেবার আন্তর্জাতিক সাহায্য চাইতে দেরি করে ফেলে সেনা প্রশাসন। যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় মায়ানমারের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জানানো হয়েছে, ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল বিল্ডিং, একটি বৌদ্ধ মনাস্ট্রি, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, সাড়ে চারশোর বেশি ল্যাম্পপোস্ট এবং ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি ভাঙা পড়েছে মধ্য ও পূর্ব মায়ানমারে।
ইউনেস্কোর ‘হেরিটেজ’ রাজধানী নেপিদে প্রবল বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। গত ৬০ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি এখানে। তেমনটাই দাবি সেদেশের আবহাওয়া দপ্তরের। গত বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তার পর থেকেই জলের তলায় চলে গিয়েছে মায়ানমার। তবে ত্রাণসামগ্রী বিপর্যস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।