রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 13-09-2024

রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব-পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে আকুর পাওনা বাবদ ১৩৭ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। তাতে রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় দ্রুতই রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্ত–আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি-ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়। আকুর সদস্য-দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।

আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ হিসাব মান অনুযায়ী রিজার্ভ কমার পাশাপাশি মোট রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল মোট রিজার্ভের পরিমাণ কমে হয়েছে ২ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার, যা গত সপ্তাহের শেষে ছিল ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর বিপিএম ৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৬ কোটি বা ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আকুর দায় পরিশোধের পর তা কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৭ জুন বিপিএম ৬ হিসাব-পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল। ওই দিন আইএমএফের হিসাব-পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রায় আড়াই মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল।

আকুর সদস্য-দেশগুলোর মধ্যে ভারত পরিশোধ করা অর্থের তুলনায় অন্য দেশগুলো থেকে বেশি পরিমাণে ডলার আয় করে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকাংশকেই আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত ডলার খরচ করতে হয়। ব্যাংকগুলো এই আমদানি খরচ নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়, যাতে রিজার্ভ বাড়ে। পরে তা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আকুর বিল পরিশোধ করে।

জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের মতো আমদানি নির্ভর দেশে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ডলার আয়ের সবচেয়ে বড় দুই উৎস রপ্তানি ও প্রবাস আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছিলো। যদিও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স আসা বাড়তে শুরু করেছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]