প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টিতে বেসামাল ভিয়েতনাম। ফ্ল্যাশ ফ্লাডের প্রভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল একটি গোটা গ্রাম। দেশে মৃতের সংখ্যা ১৪১ ছুঁয়ে ফেলল। নিখোঁজ একাধিক।
ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, প্রবল শক্তিতে ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে টাইফুন ইয়াগি আছড়ে পড়েছিল ভিয়েতনামে।
রবিবার ইয়াগির শক্তি কমেও যায়। তবে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছিল। কাই-প্রদেশে সেটাই বিপদ ডেকে আনে। জানা গিয়েছে, ভিয়েতনামের এই অংশে ঝড়ের প্রভাবে যা না ক্ষতি হয়েছে, তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি এবং তার কারণে হওয়া ফ্ল্যাশ ফ্লাডে।
রবিবার ঝড়ের শক্তি দুর্বল হলেও নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছিল ভিয়েতনামে। তার জেরেই হঠাৎ কাদা মাটি ও পাথর মিশ্রিত জল নেমে আসে পাহাড় থেকে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় একটা গোটা গ্রামকে। ল্যাং নু নামের এই গ্রামে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। আকস্মিক বন্য়ায় ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একাধিক। সংখ্যাটা প্রায় ৪০। গোটা ভিয়েতনামে বন্যা ও ঝড়ের কারণে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১-এ, ৬৯ জন নিখোঁজ, আহত সংখ্যা একশোরও বেশি।
ইয়াগি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আঘাত আনা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। এটি শনিবার ১৪৯ কিলোমিটার (৯২ মাইল প্রতি ঘন্টা) বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল। ঝড় থেকে বাঁচতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফ্ল্যাশ ফ্লাডের ব্যাপারে কোনও ধারনাই ছিল না ল্যাং নু গ্রামের বাসিন্দাদের।
শেষ খবর অনুযায়ী, বৃষ্টি এখনও হয়ে চলেছে লাও কাই-সহ গোটা ভিয়েতনামে, এবং সেখানকার নদীগুলিও এবার বিপদ সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে।