চারঘাটে খোলা আকাশের নিচে নোংরা পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে খাবার, নেই তদারকি


চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: , আপডেট করা হয়েছে : 05-09-2024

চারঘাটে খোলা আকাশের নিচে নোংরা পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে খাবার, নেই তদারকি

রাজশাহীর চারঘাটে বিভিন্ন সড়কের পাশে, ফুটপাতে ও বিভিন্ন হাট-বাজারে খোলা আকাশের নিচে জমে উঠেছে মানহীন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রি। আর এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সাধারন পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফুটপাতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি খাবার খেয়ে প্রাথমিক অবস্থায় পেটব্যথা, মাথাব্যথা দেখা দিলেও পওে ধাপে ধাপেতা ভয়ঙ্কর মৃত্যুতে অবস্থান ঘটায় বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দিনের পর দিন মাসের পর মাস চলতে থাকা এমন পরিস্থিতিতেও নেই কোনো প্রশাসনের তদারকি। ফলে অনেকটা বাধাহিন ভাবে হোটেল-রেস্তোরা মালিকরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেও এমন অপকর্ম। 

সরেজমিনে চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আল-মদিনা রেস্তোরা, আল-আমিন হোটেল এন্ড রেস্তোরা, রিপন হোটেল এন্ড রেস্তোরা, জয় হোটেল, পলাশ মিষ্টান্ন ভান্ডার, লক্ষি মিষ্টান্ন ভান্ডার, স্বপন মিষ্টান্ন ভান্ডার, মিনহাজ মিষ্টান œভান্ডারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাতে তৈরিকৃত আটা-ময়দাররুটি, পরোটা, ফোসকা, সমুচা, সিংগারা, আলুর চপ, পুরি, পিয়াজু, ঝালমুড়িসহ হরেক রকমের খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে খোলা মেলাভাবে। আর এসব খাবার তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল তৈল ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে। রাস্তা কিংবা রাস্তারপাশে খাবারগুলো তৈরি ও রাখায় ধুলোবালি খাবারের ওপর পড়ছে। এ ছাড়াও এসব হোটেল রেস্তোরার পেছনে কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে বাসি পছা খাবার রাখা হয়েছে প্রকাশ্যে। এসব বিষয় জানতে চাইলে হোটেল রেস্তোরা মালিকদের দাবি আমরা নিয়ম মেনেই হেটোল রেস্তোরা পরিচালনা করছি ।

নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধওে চারঘাটে কোন ধরণের অভিযান না থাকায় হোটেল রেস্তোরা মালিকরা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন এমন অবৈধ কর্মকান্ড। দেখার যাদের দায়িত্ব তাদেও অবহেলায় এমন অবৈধ কর্মকান্ড ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে দিনের পর দিন। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, পথে খাবার বিক্রির জন্য নেই কোনো নীতিমালা। ফলে অবৈধভাবে ফুটপাতে বা বিভিন্ন পথে-ঘাটে মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করেই যাচ্ছেন সবাই। যেখানে খাবারগুলো ঢেকে রাখার জন্যও কোনো সচেতনতা বোধ নেই এসব হোটেল রেস্তোরা মালিকদের মধ্যে। 

এ ব্যাপাওে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: আশিকুর রহমান জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব খাবার খেয়ে পেট ও মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ কৃমি হওয়া, যকৃতের সমস্যা, ক্ষুদামন্দা, জন্ডিস ও হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

এব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, এর চাইতে বড় বড় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। তার পরেও নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]