জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শানশানের প্রভাবে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত শতাধিক মানুষ। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন একজন। জাপানের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, টাইফুনের প্রভাবে দেশটির বিশাল এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
ঝড়ের কেন্দ্রস্থল থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে ভূমিধস ও বন্যার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার এনএইচকে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ঘরবাড়ির ছাদগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্লাবিত রাস্তায় গাড়িগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার কিউশু দ্বীপের স্থলভাগে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।
কিউশু বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, দক্ষিণ কিউশুর কাগোশিমা প্রিফেকচারে ৩৫ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত শানশান গত বৃহস্পতিবার কিউশু দ্বীপের কাগোশিমার উপকূলে আছড়ে পড়ে। ঝড়ের প্রভাবে কাগোশিমা ও তার আশপাশাশের এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে এখনও ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট। এছাড়া কিউশু দ্বীপজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার যখন কাগোশিমার উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান, সে সময় সেখানে বাতাসের গতিবেগ চিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। শানশানের প্রভাবে কিউশুরু পাশাপাশি রাজধানী টোকিও এবং উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোতে ভারী বর্ষণ হয়েছে। কিউশুর বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান কিউশু ইলেকট্রিকের তথ্য অনুসারে, ঝড়ের পর থেকে কাগোশিমার ৩৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎ-বিহীন অবস্থায় রয়েছে।