পাকিস্তানে বড়সড় সন্ত্রাসী হামলা। সোমবার বালুচিস্তানের মুসাখেল জেলায় পাঞ্জাবের অন্তত ২৩ জনকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, সন্ত্রাসীরা বাস ও অন্যান্য যান থেকে যাত্রীদের নামায় এবং এরপর তাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর তাঁদের গুলি করে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সহকারী কমিশনার মুসাখেল নজীব কাকরের বরাত দিয়ে বলেছে যে, সশস্ত্র লোকেরা মুসাখেলের রারাশাম জেলায় মহাসড়ক অবরোধ করে এবং যাত্রীদের গুলি করে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের মতে, মৃতদের বেশিরভাগই পাঞ্জাবের লোক বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র লোকজন ১০টি গাড়িতে আগুনও দিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং আহতদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি সন্ত্রাসবাদের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে এভাবে হত্যাকারী কাপুরুষ সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই কাপুরুষ সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি।
এটা স্পষ্ট যে, মুসাখেলে এই সন্ত্রাসী হামলা পাঞ্জাবের মানুষকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। এই বছরের এপ্রিলের শুরুতে, বন্দুকধারীরা নোশকির কাছে একটি বাস থেকে নয় যাত্রীকে নামিয়ে তাঁদের আইডি কার্ড চেক করে এবং পরে তাঁদের গুলি করে দেয়।
উল্লেখ্য, এই ধরণের হামলা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় অবস্থিত তুর্বতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা পাঞ্জাবের ছয় শ্রমিককে গুলি করে খুন করে। ২০১৫ সালে অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটে, যখন বন্দুকধারীরা তুর্বতের কাছে একটি শ্রমিক শিবিরে হামলা চালায়, যাতে ২০ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং তিনজন আহত হন।