ফোনে ইনস্টল থাকা কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারদের স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে হ্যাকাররা। তাই অবিলম্বে সেগুলো ডিলিট করুন এমনই সতর্কবার্তা জারি করল গুগল। শুধু ফোন করার জন্য আজকাল আর কেউ স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। চ্যাট, মিটিং থেকে ব্যাঙ্কের কাজ সবই চলে স্মার্টফোনে। এই পরিস্থিতিতে ফোন হ্যাক হয়ে গেলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
সম্প্রতি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাধীন সংস্থা মেটা দাবি করেছিল, ফোনে থাকা এডিটিং অ্যাপ মারফত হ্যাকাররা ইউজারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়তে পারে।
রিপোর্টে বেশ কয়েকটি অ্যাপের নামও প্রকাশ করেছিল তারা। মেটার দাবি, এই অ্যাপগুলি নিরাপদ নয়। কিন্তু গুগল প্লে স্টোরে দিব্যি রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ফটো এডিটিং অ্যাপ। কয়েকটি তো বেশ জনপ্রিয়। অনেক ইউজারই এই সব অ্যাপ ব্যবহার করেন।
এই ফটো এডিটিং অ্যাপগুলির মধ্যে ১৬টি চিনা অ্যাপ। ২০২০ সালেই কয়েকশ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। তবে গুগল প্লে স্টোরে বিউটিপ্লাস-ইজি ফটো এডিটর, বিউটিক্যাম, সেলফি ক্যামেরা-বিউটি ক্যামেরা অ্যান্ড ফটো এডিটর, বি৬১২- বিউটি অ্যান্ড ফিল্টার, সুইট স্ন্যাপ-এর মতো কয়েক ডজন অ্যাপ এখনও রয়েছে। এই অ্যাপগুলো ডাউনলোডও করে রেখেছেন লাখ লাখ ইউজার।
এবার মেটার মতোই রিপোর্ট প্রকাশ করল গুগল। ইউজারদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করে টেক জায়ান্ট সংস্থা জানিয়েছে, এই ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ম্যালওয়্যার পাঠানো যায়। যা ইউজারদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্লে স্টোর থেকে এই সব অ্যাপের অনেকগুলি ইতিমধ্যে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইউজারদের স্মার্টফোনে সেগুলো এখনও ইনস্টল করা আছে। অবিলম্বে এই অ্যাপগুলো ডিলিট না করলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
ফোনে কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত। সবার আগে নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। বেশিরভাগ অ্যাপ গুগল প্লে যাচাই করে। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। তাই ইনস্টল করলেও কোনও অ্যাপকেই ফোনের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস দেওয়া উচিত নয়।