আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পাশবিক হত্যার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সেই আবহেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। ক্লাসের মধ্যেই নাবালিকা ছাত্রীকে পর্ন দেখতে বাধ্য করলেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের করিমগঞ্জে। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পলাতক।
তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একটি সরকারি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ অগস্ট। তখন ওই শিক্ষক স্থানীয়দের বিষয়টি বুঝিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছামতো এ নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। পরে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা একজোট হয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
পরে তাঁরা স্কুলে ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস বলেন, 'আমরা পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।'
হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি আরও জানান, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা শিক্ষককে মারধর করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার পরে তাঁরা স্কুলে ভাঙচুর করার পরে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যেহেতু স্থানীয়রা সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করেছেন, তাই তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা। বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এটি একটি জঘন্য কাজ এবং অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। তাঁদের একজন বলেন, 'আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাই, যাতে তারা শিক্ষা লাভ করে এবং মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু তারা এইরকম একজন শিক্ষকের কাছ থেকে কী শিখবে?'
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রথমে তাদের মেয়ে এই ঘটনার কথা বলতে ইতঃস্তত করলেও পরে সে মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। ওই শিক্ষক তাকে পর্ন দেখতে বাধ্য করেছিলেন এবং তাকে খারাপভাবে স্পর্শও করেছিলেন। এই ঘটনায় শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।