১৩ বছরের মেয়ের সঙ্গে পাশবিকতা! ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নিলেন মা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 04-08-2024

১৩ বছরের মেয়ের সঙ্গে পাশবিকতা! ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নিলেন মা

সাউথ সুপারস্টার যশের 'কেজিএফ' সিনেমার একটি সংলাপ আছে, "এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হলেন মা!" যদি দেখা যায়, এটি কেবল একটি সংলাপ নয়, এটি বিশ্বের সত্য। একজন মা তার সন্তানের জন্য যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন, যেকোনও কিছু করতে পারেন।

মা নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে কারও জীবন পর্যন্ত নিতে পারেন। স্পেনের একজন মা-ও তাই করেছেন। তাঁর মেয়ের সঙ্গে পাশবিক আচরণ করা এক ব্যক্তির থেকে এমন প্রতিশোধ নিয়েছেন, যা সবাইকে অবাক করবে। এই কাজের জন্য অবশ্য তাঁকে শাস্তিও দেয় আদালত। ঘটনাটি বেশ পুরোনো হলেও, আজও মানুষ এটা শুনলে সেই মায়ের পক্ষেই কথা বলেন।

ডেইলি স্টার নিউজ ওয়েবসাইট অনুসারে, স্পেনের মারিয়া ডেল কারমেন গার্সিয়ার মেয়ের বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তাকে অ্যান্তোনিও কসমে নামে একজন ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ১৯৯৮ সালের। এই ঘটনার পর অ্যান্তোনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু জুন ২০০৫ সালে, অ্যান্তোনিও এক দিনের জন্য জেল থেকে মুক্তি পায়। তখনও সেই নিষ্ঠুর কাজের জন্য অনুতপ্ত ছিল না সে। সে এলিকান্টে (স্পেন) শহরে মারিয়ার বাড়ির কাছে পৌঁছায় এবং তাঁকে একটি বাস স্ট্যান্ডে দেখে নেয়।

সে জেনেবুঝে মারিয়াকে উত্যক্ত করতে তাঁর কাছে যায় এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করে তাঁর মেয়ে কেমন আছে? এর পরে লোকটি একটি স্থানীয় বারে যায়, যেখানে মারিয়া প্রায়শই তার পরিবারের সাথে যেতেন। মারিয়া এতটাই রেগে যান যে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে কাছের একটি পেট্রোল পাম্পে পৌঁছে সেখান থেকে পেট্রোল কিনে নেন। এর পরে তিনি সরাসরি সেই বারে পৌঁছে যান এবং অ্যান্তোনিওকে পেট্রোল দিয়ে স্নান করিয়ে দেয় এবং বিনা দ্বিধায় লোকটির আগে আগুন ধরিয়ে দেন। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কারণে কয়েকদিন পর হাসপাতালে মারা যান অ্যান্তোনিও।

এরপর পুলিশ মারিয়াকে বন্দর থেকে ধরে, যেখানে তিনি একপ্রকার বেহুঁশ হয়ে বসেছিলেন। মারিয়া তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তিনি কেবল তাকে আঘাত করে, তাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন, তিনি তার জীবন নিতে চাননি। আদালত মারিয়াকে সাড়ে নয় বছরের কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু পরে আপিলের অধীনে তার সাজা কমিয়ে সাড়ে ৫ বছর করা হয়। কম শাস্তি হলেও আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ, মাকে জেলে পাঠানোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করে। এরপর হাজার হাজার মানুষ ওই মহিলার মুক্তির আবেদনে স্বাক্ষর করেন। তাঁরা মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করেন।

২০১১ সালে, যখন মহিলাটি এক বছর এবং ১০ দিন জেলে কাটিয়ে ফেলেন, তখন তাঁর সাজা বাতিল করা হয়। আদালত মেনে নেয় যে, তিনি আগে কখনও কোনও অপরাধ করেননি এবং আদালত এই মামলাটিকে বিশেষ হিসাবে বিবেচনা করে। তা সত্ত্বেও, মারিয়াকে ২০১৩ সালে আবার জেলে পাঠানো হয় কারণ তার ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে, তিনি দিনের বেলা জেল থেকে ছাড়খ পেতে শুরু করেন এবং ২০১৮ সালে, তিনি জেল থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছিলেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]