রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ মিজানুর রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২ টায় চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ মিজানুর রহমান, সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ গোলাপ হোসেনের ছেলে।
রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মুশরইল এলাকার মোঃ হায়দার তালুকদারের ছেলে সাব্বির (২২) একজন ছাত্র। তার সাথে আসামি মিজানুর রহমান এবং পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তরের অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
শনিবার(২৭ জুলাই) রাত ৮টায় সাব্বিরের সঙ্গে আসামিদের ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর মোড়ে দেখা হলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তর সাব্বিরকে ধরে রাখে এবং মিজানুর চাকু দিয়ে তার বুকের বাম পার্শ্বে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন সাব্বিরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাত ১০ টায় সাব্বির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় সাব্বিরের বাবা চন্দ্রিমা থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বিভূতি ভুষন ব্যানার্জী, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে।
পরবতীতে শনিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২ টায় চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর এলাকা থেকে আসামি মিজানুরকে গ্রেপ্তার করেন এসআই মোঃ রেজাউল করিম ও সঙ্গীয় ফোর্স।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
রাবিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।