স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 17-07-2024

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান'কে (৩৭) যৌতুক মামলায় এক বছরে সাজার রায় প্রদান করেন রাজশাহী আপিল বিভাগের অতিরিক্ত- ২ এর ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ ।

গত ৯-০৬-২০২১ ইং নাজমুন নাহার লাভলী বাদী হয়ে তার স্বামী মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, বোয়ালিয়া মডেল থানা, রাজশাহীতে মামলার দায়ের করেন।

দীর্ঘ সময় মামলা শেষে রাজশাহীর নিম্ন আদালত এম,এম- ৪ এর বিচার ফায়সালায় ওই শিক্ষককে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে । মনিরুজ্জামান পুনরায় আপিল করলে গত ১৪-০৬-২০২৪ ইং তারিখে নিম্ন আদালতে রায় বহাল রাখে রাজশাহী আপিল বিভাগের অতিরিক্ত- ২ এর বিচারক আবুল কালাম আজাদ । আসামি মনিরুজ্জামানকে ৪৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তিনি ৫০ দিনের মাথায় গত বুধবার ১০-০৭-২০২৪ দুপুরের রাজশাহী কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওই শিক্ষক মনিরুজ্জামান ইসলাম পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া গ্রামের মৃত. আঃ সামাদের ছেলে।

উল্লেখ্য যে, নাজমুন নাহার লাভলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক । মনিরুজ্জামান ২২/০৪/২০২০ ইং তারিখে ইসলামী শরীয়তের বিধানমতে রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ করে ওই শিক্ষিকাকে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী রুপে সংসার করাকালে আমার স্বামী যৌতুক বাবদ ৬ লক্ষ টাকার দাবীতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। আমি গত ০২/০৬/২০২১ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ৮.০০ ঘটিকায় মনিরুজ্জামানকে আমার বাবার বাসায় ডাকা হলে তিনি আসে। কথাবার্তার এক সময় আমার পিতা- মাতাকে যৌতুক বাবদ ৬ লক্ষ টাকা না দিলে তার মেয়েকে ভাত- কাপড় দেবে না বলে জানিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখে না। এর পরে আমি বোয়ালিয়া মডেল থানা, রাজশাহীতে একটি মামলা মামলার দায়ের করি।

আসামীর বড় ভাই শামসুজ্জামান বলেন, আমার ভাইয়ের বর্তমান অবস্থা আমার জানা নেই। তবে আমি কিছুদিন আগ পর্যন্ত জানি যে আমার ভাই সংসার জীবন একটু ঝামেলার মধ্যে আছে। মামলায় গ্রেফতার হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে পালোপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে এসে আমার থেকে ছুটি নিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সে কি অবস্থায় বা এখন কোথায় আছে এটা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেসুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না, তবে আমরা এইমাত্র এই বিষয়ে জানতে পারলাম। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]