ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্ধ ভক্ত ছিলেন। সেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি এসে বিঁধল তাঁর শরীরে। শেষ মুহূর্তে নিজের স্ত্রী, কন্যার প্রাণ বাঁচিয়ে নিজেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন পঞ্চাশ বছর বয়সি কোরে কম্পেরাটর।
রবিবার পেনসিলভেনিয়ায় আততায়ীর ছোড়া গুলি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
সেই গুলি গিয়ে লাগে ট্রাম্পের সভায় দর্শক হিসেবে উপস্থিত কোরে কম্পেরাচর নামে ওই ব্যক্তির শরীরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুই সন্তানের বাবা কোরে প্রাক্তন দমকল আধিকারিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবারের ঘটনায় আরও দু জন দর্শক আহত হয়েছেন বলে খবর। যদিও তাঁদের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে কুড়ি বছর বয়সি আততায়ীকে গুলি করে হত্যা করেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের একজন স্নাইপার।
রবিবার নিজের স্ত্রী এবং এক মেয়েকে নিয়ে ট্রাম্পের ওই সভায় গিয়েছিলেন কোরে। তাঁর মৃত্যুর পর কোরের ওই মেয়েই ফেসবুকে লেখে, 'এরকম একজন মানুষকে সব মেয়েই তাঁর বাবা হিসেবে চাইবে! সংবাদমাধ্যম হয়তো এ কথা বলবে না যে আমার বাবা একজন সুপার হিরোর মতোই মৃত্যু বরণ করেছেন। বাবা আমাকে এবং মাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। নিজের শরীর দিয়ে আমাকে আড়ালও করে নিয়েছিলেন, যাতে বুলেট আমার শরীরে না লাগে।'
পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বলেন, 'কোরে একজন নায়কের মতোই নিজের পরিবারকে রক্ষা করেছেন।' কোরের সম্মানে পেনসিলভেনিয়ার পতাকাও অর্ধনমিত থাকবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র। তিনি আরও বলেন, 'কোরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন অন্ধ সমর্থক ছিলেন। গতরাতে ওই সভা উপস্থিত থাকা নিয়ে খুবই উৎসাহিত ছিলেন তিনি।' নিহত ওই দমকল কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তহবিল তৈরি করার জন্য একটি পেজও সমাজমাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ওই তহবিলে তিন লক্ষ তিরিশ হাজার ডলার উঠে গিয়েছে।