অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহারে বাড়ছে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি!


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 12-07-2024

অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহারে বাড়ছে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি!

জীবনের অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে স্মার্ট ফোন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সারাদিনে কতবার মোবাইলে চোখ পড়ে তার কোনও হিসেব নেই। তবে সর্বদা এই স্মার্টফোনকে সঙ্গী করা শরীরে অনেক খারাপ প্রভাবও ফেলে। বর্তমানে শিশু থেকে বয়স্ক, সকলকেই স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

যার জেরে দেহে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ ব্যাধী।

ফোনের কারণে চুপিসাড়ে শরীরে প্রবেশ করছে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। যা কারণ হয়ে দাঁড়ায় ব্রেন টিউমার, ক্যান্সারের। সেল ফোন ওয়্যারলেস হওয়ায় এতে কম মাত্রার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থাকে। এই তেজস্ক্রিয় রশ্মি ক্ষতিকর হোক বা না হোক, টিস্যু আর ডিএনএ-র ক্ষতি করে। রেডিয়েশন সাধারণত মাথা আর চোখের ক্ষতি করে বেশি। ডিএনএ-হীন কোশের সংখ্যা বাড়িয়ে ক্যানসার ঘটাতেও সক্ষম। তাই গবেষকদের একাংশের কথায়, তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হল এটি ব্রেনে টিউমার তৈরি করতে পারে। যে টিউমার ক্যানসারের আকার ধারণ করতে পারে কিছুদিনেই।

ঠিক সেই কারনেই মোবাইল সরাসরি বুক বা হিপ পকেটে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সরাসরি শরীরের সঙ্গে সংযোগ থাকায় অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। ঘুমোনোর সময় অনেকে ফোন বালিশের পাশে রেখে ঘুমোতে যান। এই অভ্যাস বিপজ্জনক। ফোন থেকে আসা রেডিয়েশন ঘুমন্ত শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকর। ফোনে অ্যালার্ম দেওয়া থাকলে মাথা বা কানের কাছে না রেখে বেশ কিছুটা দূরত্বে রাখুন। বালিশের তলায় তো একেবারেই রাখবেন না।

ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে হলে মোবাইলে কথা বলার সময়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সরাসরি সেল ফোন কানে না ধরে হেড সেট বা স্পিকার অন করে কথা সারুন। এতে মাথার থেকে ফোনের দূরত্ব বজায় থাকবে। কথা বলার সময় কোলের ওপর বা পকেটে না রেখে শরীর থেকে কম করে এক ফুট দূরে সেটটি রাখুন। সবচেয়ে ভালো উপায় ফোনে কথা কমিয়ে মেসেজ পাঠানোর অভ্যাস তৈরি করুন।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই যন্ত্র বড়দের তুলনায় শিশুদের ক্ষতি করে বেশি। তাই ১৮ বছরের কমবয়সী কারোর হাতে সেল ফোন না দেওয়ায়ই ভালো। একই কথা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মায়ের সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানের এর থেকে ক্ষতি হয়। যেখানে সিগনাল কম যেমন লিফট, ট্রেন বা বাসের ভিতরে কিংবা এমন বিল্ডিংয়ে, যার ভিতরে স্টিলের ব্যবহার আছে – এমন জায়গায় ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। এতে যোগাযোগের সময় ফোন থেকে বেশি মাত্রায় রেডিয়েশন বের হয়। তাই মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক হোন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]