লোক দেখানো নামাজের কারণে যে ক্ষতি হবে


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 12-07-2024

লোক দেখানো নামাজের কারণে যে ক্ষতি হবে

নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি গুরুত্ব দিয়ে ঠিকমতো নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ মাফ করবেন।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলার কারণে এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪২০)

নামাজ আদায় হতে হবে ত্রুটিমুক্ত এবং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য। নামাজকে রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদতে পরিণত করা যাবে না। কারণ, রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদতকে হাদিসে ছোট শিরক বলে গণ্য করা হয়েছে।

রাসূল সা. বলেছেন, ‘আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক নিয়ে যত ভয় পাচ্ছি, অন্য কোনো ব্যাপারে এত ভীত নই।’ সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী? তিনি বলেন, রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা। মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের প্রতিদান দেওয়ার সময় বলবেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে যাদের দেখানোর জন্য আমল করতে তাদের কাছে যাও। তাদের কাছে দেখো তোমাদের কোনো প্রতিদান আছে কি না?’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২৫২৮)

অর্থাৎ লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করলে তা নামাজি ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে পারে। আর যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে, তাদের নামাজ কবুল হয় না। 

মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং ধ্বংস সেসব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন—যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন, আয়াত : ৪-৬)

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ লোক দেখানো ইবাদত থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘...যে ব্যক্তি তার রবের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, সে যেন সৎ কাজ করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে অংশীদার না করে।’ (সূরা কাহাফ, আয়াত : ১১০)


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]