রসুনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান কৃষকরা


আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 06-04-2022

রসুনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান কৃষকরা

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে সাদা সোনা খ্যাত রসুনের ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। কৃষক-শ্রমিক, চাকরি জীবিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ বর্গা নিয়ে কিংবা নিজের জমিতে চাষ করেন এই রসুন। অর্থকরী ফসল রসুন চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরলেও বর্তমানে ভালো দাম না থাকায় এই রসুনই যেন এখন তাদের মরার উপর খারার ঘা। তাই রসুনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চৈত্রের তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্ষেত থেকে রসুন উত্তোলন করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। পরিপাটি শেষে বস্তাবন্দি করে বিভিন্ন বাহনে করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা। শহরের বাণিজ্যনগরী চাঁচকৈড় রসুন হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পাইকার এবং রসুনের চাহিদা থাকলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন চাষীরা। মঙ্গলবার চাঁচকৈড় হাটের দিন রসুনের ভালো দাম না থাকায় চাষীদের চোখে মুখে দেখা যায় হতাশার ছাপ। মানভেদে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে এই রসুন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে গুরুদাসপুরে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। তবে গত বছরের ৬ হাজার ৩০০ হেক্টরের চেয়ে কম। এবছর রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের চাষী শফিকুল ইসলাম রেজো জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। এবছর প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। গত বছর হয়েছিলো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ রসুন হয়েছে। উৎপাদন ভালো হলেও খরচ অনুযায়ী বাজারে দাম নেই।  এতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মমিন সরদার জানান, গত বছর রসুনের ভালো দাম না থাকায় অনেক টাকার লোকসান হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভালো দামের আশায় ২ বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন তিনিও। গত বারের মতো এবারো ন্যায্যমূল্য না পেলে পথে বসবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, রসুন উৎপাদনে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদের সকল পরামর্শ এবং সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। তবে রসুনের সাথে সাথী ফসল (তরমুজ, বাঙ্গী, মিষ্টি কুমড়া) চাষের ফলে ও বোরো ধানের ভালো দাম থাকায় রসুনের আবাদ কিছুটা কম হয়েছে।

রাজশাহীর সময়/এএইচ

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]