উদ্ভট পেশাতেই হাজার হাজার ডলার উপার্জন মিস্ট্রেস মার্লের


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 11-07-2024

উদ্ভট পেশাতেই হাজার হাজার ডলার উপার্জন মিস্ট্রেস মার্লের

অপমান- শুধু মাত্র অপমান- এই আজগুবি কাজ করেই হাজার হাজার ডলার কামাচ্ছেন এক আমেরিকার মিস্ট্রেস মার্লে। পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা, তাদের অপমান করার এই উদ্ভট পেশা অনলাইনে অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ ৩০ বছরের এই মার্কিন মহিলা একজন পেশাদার 'ডমিনেট্রিক্স'। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ক্লায়েন্টরা সকলে স্বেচ্ছায় মৌখিকভাবে বা শারীরিকভাবে অপমানিত হতে চায়।

চায় মিস্ট্রেস মার্লে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করুন। আর এর বিনিময়ে তারা তাঁকে বিভিন্ন উপহার দেয় এবং মোটা টাকা দেয় তার পরিষেবার মূল্য হিসেবে। সম্প্রতি, ‘লাভ ডোন্ট জাজ’ নামে এক ইউটিউব চ্যানেলে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক অথচ লাভজনক ব্যবসার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। প্রায় ছয় বছর আগে এই অপ্রচলিত পেশা বেছে নিয়েছিলেন মার্লে।

স্নাতক হওয়ার পর প্রচলিত কর্পোরেট চাকরি করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু বুঝেছিলেন, তাতে তাঁর আর্থিক চাহিদা মিটবে না। এরপরই অনলাইনে বিকল্প আয়ের উৎসের খোঁজ করেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি এমন বেশ কিছু মহিলার সন্ধান পান, যাঁরা অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

কৌতূহল জেগেছিল মার্লের। ঠিক করেন, তিনিও এই কাজই করবেন। তাঁর প্রথম ক্লায়েন্ট, মার্লেকে তাঁর মধ্যাহ্নভোজের বিল মেটানোর জন্য ৫০ ডলার দিয়েছিল। তবে এটা মার্লের উপার্জন ছিল না।

এই যে তাঁর খাবারের বিল মেটালেন পুরুষটি, এই পরিষেবার মূল্য হিসেবে পুরুষটি তাঁকে আরও মোটা টাকা দিয়েছিলেন। এরপর, তাঁর পরিষেবা পেতে একজন ক্লায়েন্ট তাঁকে প্রাথমিকভাবে ১০০০ ডলার দিয়েছিলেন। পরে মার্লের পরিষেবাগুলির হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে আরও ২ লক্ষ আট হাজার ডলার পাঠিয়েছিল সে। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

কিন্তু, কারা মার্লে-র ক্লায়েন্ট? প্রধানত শ্বেতাঙ্গ পুরুষরাই মিস্ট্রেস মার্লের পরিষেবা চায়। কী ধরনের পরিষেবা? মার্লের বাড়িতে এসে তাঁর চাকর ভূমিকা নেওয়া, শারীরিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়া, মার্লের হাতে চাবুকের বাড়ি খাওয়া ইত্যাদি।

তাঁর এই পেশা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মহিলাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চায় যে পুরুষরা, তারা মহিলাদের দুর্বল বলেই ভাবে। আর দুর্বলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার মধ্যে একটা বিকৃত আনন্দ কাজ করে। একই সঙ্গে মার্লে কৃষ্ণাঙ্গ বলেই তাঁর ক্লায়েন্টদের তালিকায় শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা বেশি।

যার পিছনে একইভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অবমাননার ভাব কাজ করে। তাই মার্লের পেশা নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। তবে, এই সব বিতর্ক, সমালোচনায় কান দেন না মার্লেতিনি জানিয়েছেন, এই পেশা তাঁর জীবনধারা এবং তাঁর আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছে। তাই কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না।  


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]