শেরপুরের প্রতিটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার যেন বেড়েই চলছে। শেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় গত সাত দিনে পানিতে ডুবে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ, শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা যেন বেড়েই চলেছে।
শেরপুরের নকলায় কলা গাছের ভেলা দিয়ে খেলতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে হাফেজি পড়ুয়া রিফাত (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। সে উপজেলার উরফা ইউনিয়নের হাসখিলা উত্তরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং তারাকান্দা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিটি নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা পানিতে ভরে গেছে। এমনকি নিচু এলাকার প্রতিটি বাড়ির আশেপাশের জমিতেও পানি জমা হয়েছে। জমানো পানিতে ডুবে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বর্ষাকালে পানিতে পড়ে শিশুর ডুবে যাওয়া ঠেকাতে প্রতিটি পরিবারকে বেশি সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে বলে তিনি জানান।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, গত সাত দিনে নকলা উপজেলার তিনজন, শ্রীবরদী উপজেলার একজন এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার একজন শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রতিটি থানায় সচেতনতা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। এখন থেকে প্রতিটি বিট মিটিংয়ে এটি নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কাজ শুরু করব খুব শীঘ্রই।