কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আলভারেজ ও মেসির গোলে নীল-সাদা জার্সিধারীরা ২-০ গোলে হারাল কানাডাকে। ২২ মিনিটে আলভারেজ গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। ৫১ মিনিটে সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত।
চলতি কোপায় প্রথম গোল পেলেন মেসি। ওই ২-০ গোলেই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পাসপোর্ট জোগাড় করে নিল গত বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে স্পেনকে ছুঁতে আর এক কদম দূরে মেসিদের। টানা তিনটি মেগা আন্তর্জাতিক খেতাব জিতে নজির গড়েছিল স্পেন। আর্জেন্টিনাও সেই পথেই এগোচ্ছে। এবারের কোপা ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেই স্পেনের সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলবে স্কালোনির দল।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২ সালে বিশ্বকাপও জেতে আর্জেন্টিনা। এবারও লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের পথে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। আর এক ধাপ কেবল বাকি।
শুরু দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। সবটা বোঝা না গেলেও কিছুটা তো বোঝা যায়। কানাডা এদিন শুরুতে আক্রমণের রাস্তা নিলেও আর্জেন্টিনার রক্ষণের সামনে এসে শেষটা আর করতে পারেনি। স্কালোনির আর্জেন্টিনা আবার গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয়। এই দলটায় ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেওয়ার মতো ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কানাডার ডিফেন্সে দুই ডিফেন্ডার অ্যালিস্টার জনস্টন ও ময়েস বোম্বিতোর মাঝে সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আলভারেজ। মাঝ মাঠ থেকে তাঁর ঠিক সামনে বল ফেলেন ডি পল। ডান পায়ে রিসিভ করে গোল করেন আলভারেজ। ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির ঠিক আগে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। দুর্দান্ত আক্রমণ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার পাস আলভারেজ ডামি করলে বল পান মেসি। প্রথম টাচে ডিফেন্ডার জনস্টনকে বোকা বানিয়ে শট নিলেও সেটি বাইরে চলে যায়। ৫১ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। চলতি কোপায় প্রথম গোল করেন মেসি।
এনজো ফার্নান্দেজের শট থেকে মেসি পা ছুঁয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন চলতি কোপায়। কানাডা অবশ্য অফসাইডের অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশিই বাজান। গোলের সুযোগ পেয়েছিল কানাডাও। কিন্তু এমি মার্টিনেজ তৎপর থাকায় গোল করতে পারেনি কানাডা।