বৈশ্বিক কূটনীতিতেও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ। সরকারের এই অবস্থান আবারও স্পষ্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে যৌক্তিক অবস্থানই নিয়েছে ঢাকা।
ওয়াশিংটন সময় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে ইনস্টিটিউট অব পিস আয়োজিত সংলাপে এ কথা জানান মন্ত্রী। এ সময় র্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ ও মানবপাচার বেড়ে যেতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের গতিবিধি এই সংলাপের মূল বিষয়বস্তু হলেও সঞ্চালক অ্যাম্বাসেডর টেরেসিটা শেফার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ছুড়ে দেন নানা তীর্যক প্রশ্ন।
আলাপচারিতায় উঠে আসে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভোটদান থেকে বিরত থাকার বিষয়টি। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে প্রথম প্রস্তাবটি দোষারোপ করার উদ্দেশ্যে হওয়ায় বাংলাদেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একযুগে শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুসংহত করেছে। বর্তমানে দেশ পুরোপুরি গণতন্ত্রিক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, এই আইনের কিছু দুর্বলতা আছে যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ ও মানবপাচার বেড়ে যাওয়ার শঙ্কার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সীমা লঙ্ঘন করলে র্যাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান ড. আবদুল মোমেন।
রাজশাহীর সময় / এম আর