১৪ বছরের টোরি 'শাসনের' অবসান ঘটিয়েছেন। ব্রিটেনে সরকার গড়তে চলেছেন কের স্টার্মার। ইতিমধ্যেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই বাম ঘেঁষা মধ্যপন্থী নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চারশো আসনের গণ্ডিও পেরিয়ে যেতে পারে লেবার পার্টি।
কে এই কের স্টার্মার? ১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এই লেবার নেতা। তাঁর বাবা কারখানার শ্রমিক ছিলেন, মা ছিলেন নার্স। ছোটবেলায় একাধিক জায়গায় সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন স্টার্মার। খুব কম বয়সেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে যোগ দেন লেবার পার্টির যুব সংগঠনে। রাজনীতির পাশাপাশি সমানতালে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন মেধাবী স্টার্মার। লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তবে পুরোদস্তুর রাজনীতি শুরুর আগে ব্যারিস্টার হিসাবে কাজ করতেন স্টার্মার। ব্রিটেনের মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে কুইনস কাউন্সিলে নির্বাচিত হন ২০০২ সালে। সরকারি আইনজীবী একাধিক হেভিওয়েট মামলা লড়েছেন। ২০১৫ সালে নামেন নির্বাচনী ময়দানে। লেবার পার্টির গড় হলবোর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস থেকে জিতে হাউস অফ কমন্সে নির্বাচিত হন।
২০২০ সালে লেবার পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন। বামপন্থী নেতা হলেও লেবার পার্টির সদস্যদের কাছে নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে তুলে ধরেন স্টার্মার। দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত। ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে লেবার পার্টি। ১৪ বছর পরে ব্রিটিশ রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়েছেন। নিরামিষাশী নেতা হিসাবেও যথেষ্ট জনপ্রিয় এই নেতা। তাঁর সমাজপন্থী আদর্শে ভর করে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ব্রিটেনের বেহাল অর্থনীতি? আমজনতার হাল ফেরাতে পারবেন স্টার্মার? বিশ্লেষকদের মতে, ঋষি সুনাকের বিতর্কিত রোয়ান্ডা প্ল্যানে আপাতত দাঁড়ি টানবেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটেনের অভিবাসী সমস্যা মেটাতে সুনাকের নিদান ছিল, অভিবাসীদের পাঠিয়ে দেওয়া হোক রোয়ান্ডায়। এই সিদ্ধান্তও নির্বাচনে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।