ব্যাডমিন্টন ম্যাচ চলাকালীন কোর্টেই লুটিয়ে পড়লেন তরুণ খেলোয়াড়


ক্রীড়া ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 02-07-2024

ব্যাডমিন্টন ম্যাচ চলাকালীন কোর্টেই লুটিয়ে পড়লেন তরুণ খেলোয়াড়

ব্যাডমিন্টন ম্যাচ চলাকালীন মর্মান্তিক ঘটনা, খেলতে খেলতে কোর্টেই লুটিয়ে পড়লেন তরুণ খেলোয়াড়, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু। ইন্দোনেশিয়ায় চলমান এশিয়া জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে এই ঘটনা ঘটেছে।

চীন ও জাপানের মধ্যে ম্যাচ খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে। এই ম্যাচে ব্যাডমিন্টন কোর্টে চীনের প্রতিনিধিত্ব করেন ঝাং জিজি এবং জাপানের প্রতিনিধিত্ব করেন কাজুমা কাওয়ানা। ম্যাচ চলাকালীন চিনা প্লেয়ার আচমকাই কোর্টে পড়ে যান, এরপরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এবং অনেক ইউজাররা তাঁর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় জাপানের কাজুমা কাওয়ানার বিপক্ষে একক ম্যাচে খেলছিলেন ১৭ বছর বয়সী ঝাং জিজি। প্রথম খেলাটি ১১-১১ সমানে চলছিল, তখনই হঠাৎ করে ঝাং মাটিতে পড়ে যান। তাঁকে মাঠে চিকিৎসা করা হয় এবং তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। 

ব্যাডমিন্টন এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন (পিবিএসআই) সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, "চীনের একক খেলোয়াড় ঝাং জিজি রবিবার সন্ধ্যায় ম্যাচ চলাকালীন কোর্টে পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে গতকাল (রবিবার) রাত ১১:২০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। টুর্নামেন্টের ডাক্তার এবং মেডিক্যাল টিম তাঁকে চিকিৎসা করেন। দুই মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "ব্যাডমিন্টন বিশ্ব একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে হারিয়েছে।" পিবিএসআই-এর মুখপাত্র ব্রতো হ্যাপি বলেন, "ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেছে ঝাং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।"

ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় যে, ঝাং-এর পড়ে যাওয়ার পর প্রায় ৪০ সেকেন্ডের বিরতি রয়েছে। এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে যান। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন লোক ঝাং পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে সাহায্য করতে দৌড়াচ্ছেন, কিন্তু তিনি থেমে গেছে এবং পরবর্তী নির্দেশের জন্য কোর্টের বাইরে তাকিয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে।

পিবিএসআইয়ের একজন মুখপাত্র পরে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিক্যাল টিমকে একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হয়, যে অনুসারে তাদের কোর্টে প্রবেশের আগে রেফারির অনুমতির প্রয়োজন হয়।

কিন্তু চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বিভোতে ইউজারদের মধ্যে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে, অনেকে এই নিয়মের তীব্র নিন্দা করেছেন। একটি কমেন্টে হাজার হাজার মানুষ লাইক দিয়েছেন, যাতে লেখা, "কোন জিনিসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ- নিয়ম নাকি কারও জীবন?"


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]