নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
গ্রেপ্তার মো.হাবিবুর রহমান (২১) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের রশিদপুর গ্রামের কালাগাজী বেপারী বাড়ির মৃত মো.মোস্তাফার ছেলে।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি হাবিবুর রহমান ভিকটিমের প্রতিবেশী হয়। ভিকটিম রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ভিকটিমকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল হাবিবুর। আসামির পরিবারকে একাধিকবার বিষয়টি জানালেও আসামির পরিবার কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয়রা ভিকটিমের লাশ একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির বাগানের আমগাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভিকটিম প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে আসামি হাবিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে ভিকটিম স্কুল থেকে একাকী আসার পথে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর স্থানীয় বেগমের পরিত্যাক্ত বাড়ির পাশে লাশ ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্তে আসামি ১৮ বছরের কম হওয়ায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, আসামি জামিন পেয়ে পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ নোয়াখালীর আভিযানিক দল পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।