নোয়াখালীর সেনবাগে এক ব্যবসায়ী এনজিও ম্যানেজারের কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সাইদুল হক (৫৩) উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সাহাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মৃত গোলাম হায়দারের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সোমবার (২৪জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) দ্বীন ইসলাম। তিনি জানান, সাইদুল হক একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। কিছু দিন আগে তিনি স্থানীয় এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে আড়াই লক্ষ টাকার ঋণ নেয়। এর মধ্যে তিনি ওই টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব করছিলেন। তখন এনজিও থেকে তাকে টাকা পরিশোধের জন্য তাগাদা দেওয়া হয়। তখন তিনি জানান তার আরও ঋণ লাগবে। এনজিও থেকে তাকে বলা হয় আগের টাকা পরিশোধ করলে তাকে পুনরায় ঋণ দেওয়া হবে।
এএসআই দ্বীন ইসলাম আরও জানান, গতকাল রোববার তিনি এক সাথে ১লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করে। একদিন পর সোমবার নতুন করে আরও ৮লক্ষ টাকার ঋণ চায়। কিন্ত এনজিও ম্যানেজার তাকে আরো দুই দিন ধৈর্য ধারণ করতে বলে। তিনি ধৈর্য না ধরে এনজিও ম্যানেজারের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ম্যানেজারের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে কক্ষে ঢুকে দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ফ্যানের সাথে তোয়ালে ঝুলছে।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারে জামাল হোসেন বলেন, মেয়ের জামাই বিদেশ যাবে এজন্য তিনি নতুন করে ৮ লক্ষ টাকার ঋণ প্রস্তাব করে। তিনি আমাদের ভালো গ্রাহক। আমি অফিসের বাহিরে ছিলাম। মুঠোফোনে তিনি আমাকে ঋণের বিষয়টি জানালে আমি তাকে দুই দিন ধৈর্য ধারণ করতে বলি। এর মধ্যে তিনি আমার কক্ষে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।