সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সময় হয়। পশ্চিম আকাশে সূর্যের লাল ও সাদা আভা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় থাকে। যা সাধারণত এক ঘন্টা থেকে সোয়া ঘন্টা দীর্ঘায়িত হয়। তবে সূর্যাস্তের পরপর অল্পসময়ের মধ্যেই মাগরিবের নামাজ পড়ে নেওয়া উত্তম।
মাগরিবের আজান ও ইকামতের মাঝে সুন্নত বা মুস্তাহাব পর্যায়ের কোনো নামাজ নেই। এ সময় আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো নামাজ পড়েছেন এরকম স্পষ্ট কোনো সহিহ বর্ণনা নেই। সহিহ বর্ণনা অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদাসহ বেশিরভাগ সাহাবায়ে কেরামও সাধারণত এ সময় নামাজ পড়তেন না।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে (রা.) মাগরিবের ফরজের আগে দুই রাকাত নামাজ পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুগে কাউকে এ নামাজ পড়তে দেখিনি। (সুনানে আবু দাউদ: ১২৮৭)
ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, আবু বকর, ওমর ও ওসমান (রা.) মাগরিবের আগে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ৩৯৮৫)
তাই নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী এ সময় নফল নামাজ পড়া সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়, বরং মাকরুহে তানজিহি বা অনুত্তম।
কিছু সাহাবির ভিন্ন আমল
তবে কিছু সাহাবি মাগরিবের আজানের পর ইকামতের আগে দুই রাকাত নামাজ পড়েছেন এ রকমও বর্ণিত রয়েছে। তাবেঈ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেছেন, মুহাজির সাহাবিরা মাগরিবের আগে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন না, আনসার সাহাবিরা পড়তেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ৩৯৮৪)
সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) থেকে আরও বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি সাহাবি সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাসকে (রা.) মাগরিবের আগে দুই রাকাত নামাজ পড়তে দেখেছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৭৪৬৪)
এ সব বর্ণনার কারণে এ সময় দুই রাকাত নামাজের ব্যাপারে অনেকের ভিন্নমত আছে। আর এ সময় নফল নামাজ পড়া অনুত্তম হলেও জায়েজ। তাই কাউকে এ সময় নামাজ পড়তে দেখলে আপত্তি করাও ঠিক নয়।