ইউক্রেনে রুশ হামলা আব্যাহত রয়েছে। কয়েক ঘন্টা আগেই রাজধানী কিয়েভ সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু ইউক্রেনীয়দের লাশ। গোটা ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ বলে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়ার বাহিনীকে ‘খুনি’, ‘নির্যাতরকারী’ এবং ‘ধর্ষক’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি ইউক্রেনীয়দের উপর সমগ্র রুশ অপরাধের তদন্ত ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ জন্য ‘বিশেষ পদক্ষেপ’ করা হচ্ছে বলে দাবি প্রেসিডেন্টের।
এর মধ্য়েই ইউক্রেনের প্রসিকিউটর-জেনারেল বলেছেন, কিয়েভ সংলগ্ন শহরগুলো থেকে ৪১০ জন সাধারণ মানুষের উদ্ধার করা হয়েছে। কিয়েভের কাছে শহর বুচা-র বাসিন্দাদের রাশিয়ার সৈন্যরা কীভাবে কারণ ছাড়াই হত্যা করল? রয়টার্সের বিবরণ অনুসারে, রাশিয়ার সৈন্যরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকেছিল, রুশ বিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে কিনা তা প্রমাণের জন্য ইউক্রেনীয়দের ফোন চেক করা হচ্ছে এবং প্রতিবাদী কিছু মিললেই গুলি করা হচ্ছে।
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বুচা এবং কিয়েভের অন্যান্য শহরগুলিতে সাধারণ ইউক্রেনীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার দাবি খারিজ করেছে এবং সেটিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে অভিহিত করেছে ৷
মস্কো বলেছে , কোনও ইউক্রেনীয় বাসিন্দাই রুশ বাহিনীর মাধ্যমে কোনও হামলার শিকার হয়নি। এসবের মধ্যেই ইউক্রেনের উত্তরের অংশ থেকে রুশ সেনাদের প্রতিবেশী বেলারুশে সরানো হচ্ছে। ইউক্রেনের সেনা জেনারেল স্টাফ রবিবার এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসক দিমিত্রি ঝিভিটস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বে সুমি অঞ্চল থেকেও রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুনরুদ্ধার করা হয়েছে চেরনিহিভ অঞ্চলের কিছু অংশ।
রাজশাহীর সময় / এম জি