রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের টিন নিয়ে ব্যক্তিগত প্রচারণা ও বিতরণে গুরুত্বর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) উপজেলা পরিষদের সরকারি গোডাউন থেকে সরকারের দায়িত্বশীল কোনো প্রতিনিধি ছাড়াই বহিরাগত যুবকদের ত্রাণের ঢেউটিন বিতরণ করতে দেখা গেছে। এ সময় সাংসদ প্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমনকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকেও (পিআইও) দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি সংরক্ষিত গোডাউন থেকে এসব ঢেউটিন বের করলো কে ? চাবি পেলো কিভাবে ? বহিরাগতরা যে তাদের অনুগতদের মাঝে ত্রাণের টিন বিতরণ ও বিতরণের নামে হরিলুট করেনি তার নিশ্চয়তা কি?
প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের দেয়া এসব টিন বিতরণে বলা হয়েছে, 'ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জনন্দিত জনদরদি জননেতা জনাব বেলাল উদ্দীন সোহেল ভাই এর পক্ষ থেকে উপজেলা গোডাউন থেকে ঢেউ টিন বিতরণ'। এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, রাজনৈতিক অঙ্গনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
অনেকে বলছে, বহিরাগতদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণের টিন বিতরণ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত প্রচারণা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধি স্থানীয় সাংসদকে ছোট করা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় ব্যথিত। এঘটনায় অধিকতর তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। নিয়মানুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংসদ বা উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এসব ত্রাণের টিন বিতরণ করার কথা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পশুখাদ্য আমদানির নামে মানুষের খাবার গুড় আমদানি করে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিল উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়মানুযায়ী ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি মহল এসব নিয়ে মিথ্যাচার করছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বলেন, তিনি অফিসের বাইরে ছিলেন, তিনি বলেন, এবিষয়ে ইউএনও মহোদয় ভাল বলতে পারবেন। এছাড়াও বিতরনের পরে যদি কেউ ছবি তুলে থাকে সেই দায় তো তাদের নয়।