নাবিবিয়াকে গুড়িয়ে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত করল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে নামবিয়াকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্রেফ ৭২ রানের লক্ষ্য পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই পূরণ করে মিচেল মার্শের দল।
প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে বলের হিসাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয় এটি (৮৬)। সবচেয়ে বড় জয়টি শ্রীলঙ্কার (৯০), ২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
ক্যাক ব্রাসেলকে তিন বলে টানা দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলপতি মার্শ। ট্রাভিস হেডের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে তার অবিচ্ছিন্ন জুটি ২৪ বলে ৫৩ রানের। ১৭ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন হেড। এর আগে ৮ বলে ২০ রান কতরে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার।
টসে জিতে বল বেছে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার উইকেট নেওয়ার উৎসব শুরু হয় তৃতীয় ওভার থেকে। শুরুটা করেন জস হেইজেলউড। এরপর তার সাথে যোগ দেন প্যাট কামিন্স, মার্কাস স্টয়নিসরা। তবে নামিবিয়ার ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। এই লেগ স্পিনার ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রানে নেন ৪ উইকেট। দুটি করে নেন হেউজেলউড ও স্টয়নিস। একটি করে কামিন্স ও নাথান এলিস।
এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৩২ বছর বয়সী জাম্পা। একই দিন মিচেল স্টার্ককে টপকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলারও হন তিনি। ৮৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তার তৃতীয় ৪ বা তার বেশি উইকেটের কীর্তি এটি। সেরা বোলিং ২০২১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১ রানে ৫ উইকেট।
এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার অন্য বোলারদের চেয়ে বেশ এগিয়েই জ্যাম্পা। ৬২ ম্যাচে ৭৬ উইকেট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে স্টার্ক। এছাড়া পঞ্চাশের বেশি উইকেট আছে শুধু জশ হেইজেলউড (৬৪) ও প্যাট কামিন্সের (৬০)।
নামিবিয়া ৫০ পার করতে পারে অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাসের কল্যাণে। চতুর্থ ওভারে ব্যাটে নেমে শুরু হয় তার লড়াই। শেষ পর্যন্ত নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন ৪৩ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান করে। এছাড়া তাদের ইনিংসে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন কেবল ওপেসার মিচেল ভন লিঙ্গেন (১০ বলে ১০)।
দিনের শুরুতে ফ্লোরিডার লডারহিলে শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে মাঠেই গড়াতে পারেনি। সেই সুযোগে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইটের টিকেট হাতে পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে ওমান ও ইংল্যান্ডকেও বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট পর্বে পৌঁছে গেল তারা।