রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের (ইউপি) চৈতনপুর মাঠে রাঁতের আঁধারে ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন ও হরিশংকরপুর নাইস ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগের তীর উঠেছে,উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের দিকে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের নেপথ্যে মদদে তার লোকজন এই অবৈধ মাটি বাণিজ্যে করছে।
এদিকে অবৈধ মাটি বাণিজ্য করে সরকারি পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট ও পরিবেশ দুষণ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, খোলা ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরে পুকুর খননের কাদামাটি পরিবহণ করায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট। মাটিবাহী গাড়ির বেপরোয়া গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা, ধুলো-বালিতে অতিষ্ঠ পথচারিগণ। এছাড়াও অবাধে পুকুর খননে ক্রমাগত কমছে কৃষি জমির পরিমাণ, বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় একশ্রেণির এক্সকেভেটর (ভেকু) ব্যবসায়ীরা চুক্তিভিত্তিকভাবে রাতারাতি কৃষি জমি গিলে খাচ্ছে। তাদের পকেট ভরতে গিয়ে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা নিমিষেই বানের জলে ভেসে যাচ্ছে। কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলছেন, অবাধে পুকুর খননে উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে খাল-বিলের জীবকুল ও প্রাণিকুল।
এদিকে খোলা ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরে পুকুর খননের মাটি এনে বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমি ভরাট ও ইট ভাটায় করা হচ্ছে। মাটিবাহী গাড়ির কাদামাটি পড়ে পাকা সড়ক নষ্ট হচ্ছে। সেই কাদামাটি সরানোর কাজে শ্রমিকদের নিয়োজিত রেখেছেন ভেকু ব্যবসায়ীরা। কোদাল দিয়ে মাটি সরাতে গিয়ে পাকা সড়কের পাথর ও উপরের প্রলেপ বিটুমিন উঠিয়ে ফেলা হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, রাস্তার বিটুমিনের শত্রু হচ্ছে কাদামাটি। নিয়ম না মেনে যত্রতত্রভাবে পুকুর খনন ও পুকুরের কাদামাটিতে রাস্তাঘাট দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি,তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।