শ্রীলঙ্কায় মাহিন্দ্রা-পুত্রের ইস্তফা, প্রধানমন্ত্রী থাকছেন রাজাপক্ষই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 04-04-2022

শ্রীলঙ্কায় মাহিন্দ্রা-পুত্রের ইস্তফা, প্রধানমন্ত্রী থাকছেন রাজাপক্ষই

তুমুল সরকার বিরোধী বিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি। চরমে পৌঁছেছে আর্থিক সঙ্কট। সরকারের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন দেশের মানুষ। গোটা দেশে অস্থির পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতেই ইস্তফা দিয়েছেন মন্ত্রিসভার ২৬ জন সদস্য। রবিবার গভীর রাত অবধি মন্ত্রিসভার বৈঠক চলে। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের শিক্ষামন্ত্রী। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষই । তবে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দার ছেলে নামাল রাজাপক্ষ। দেশ জুড়ে অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই রবিবার রাতে ট্যুইটারে নিজের পদত্যাগের কথা জানান নামাল রাজাপক্ষে। মহিন্দা সরকারের যুব এবং ক্রীড়মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

দেশ জুড়ে অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই রবিবার রাতে ট্যুইটারে নিজের পদত্যাগের কথা জানান নামাল। লেখেন, প্রেসিডেন্টের সচিবকে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফার কথা জানিয়ে দিয়েছি। এই মুহূর্ত থেকেই পদত্যাগ করছি। আশাকরি, আমার পদক্ষেপে দেশের নাগরিক এবং সরকারের মধ্যে স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে। নিজের ভোটার, দল এবং হামবনথোটার নাগরিকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি।

উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলেই জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে ইস্তফা জমা দিয়েছেন ছোট ভাই মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষ। কিন্তু রাতেই জানা যায়, ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটেছে। গোটা মন্ত্রিসভা ইস্তফা দিলেও, প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন রয়েছেন মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষ। মাহিন্দ্রার ইস্তফার খবরে বিরোধীরা যখন পরবর্তী কৌশলে ব্যস্ত, সেই সময় মহিন্দার দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ইস্তফার খবরে সত্যতা নেই। ইস্তফা দেননি মহিন্দা।

ফলে বিক্ষোভ জারি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সবমিলিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। আজ, সোমবার ভোর ৬টা অবধি জরুরি অবস্থা জারি করা হয় শ্রীলঙ্কায়। দেশের আর্থিক সঙ্কটের কারণে যে ভয়াবহ সঙ্কট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে রাজধানী কলম্বো, গল সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। প্রেসিডেন্টের বাড়ির বাইরে থেকে শুরু করে রাস্তার ধার, সর্বত্রই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে পোস্টার দেখা যায়।

শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভ সামাল দিতে শনিবারই ট্যুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব-সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্লক করে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি, ৩৬ ঘণ্টার কার্ফু জারি করা হয়। কিন্তু তার পরও বিক্ষোভ থামেনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মহিন্দা এবং প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গোতাবায়ার ইস্তফা চেয়ে রবিবারও রাস্তায় ঢল নামে মানুষের। অর্থনৈতিক সঙ্কটে সরকারে ভূমিকার বিরুদ্ধে পেরাডেনিয়ায় সরব হন কলেজ পড়ুয়ারা। জলকামান দেগে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ।

রাজশাহীর সময় / এম আর


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]