ঢাকার দোহারে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার বড় রামনাথপুর এলাকা থেকে বাবুল মাঝি (২৫) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেন তারা। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল মাঝি ওই এলাকার বাদশা মাঝির ছেলে।
দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মো. আজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, “১৬ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে বাবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩০ মার্চ রাতে বাবুল মেয়েটিকে মোবাইলে ফোন করে দেখা করার জন্য দোহারের চান্দার বিল সেতুতে আসতে বলে। পরে মেয়েটি সেখানে যাওয়ার পর রাত আনুমানিক ১০টার পরে বাবুল তার দুই বন্ধু একই এলাকার বিল্লাল চোকদারের ছেলে শামীম চোকদার (২৪) ও ছোট রামনাথপুর এলাকার মুসলেম শিকদারের ছেলে আবু কালামকে (২৩) নিয়ে সেখানে যায়। এ সময় বাবুল তার দুই বন্ধুকে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
“পরে তারা তিনজন ওই কিশোরীকে সেতু থেকে পাশের নির্জন আবাদি জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে শামীম এবং পরে আবু কালাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর বাবুলও ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাবুল তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে ঘটনাটি জানায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।”
পরে মায়ের পরামর্শে শনিবার রাত ১২টার পরে ওই কিশোরী বাবুলসহ তিনজনকে আসামি করে দোহার থানায় মামলা করে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে ১ নম্বর আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে তুলে তিনদিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাবুলকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর সময় / এম আর