স্কটল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারায় সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তাটা কিছুটা কঠিন হয়ে গেল জস বাটলারের দলের জন্য। অপরদিকে সহজ জয়ে সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
বার্বাডোসে ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে মিচেল মার্শের দল। এই জয়ে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষের রইল অজিরা। অপরদিকে দুই ম্যাচ খেলে একটিও না জেতা ইংল্যান্ডের অবস্থান চার নাম্বারে।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল ইংলিশরা। দুই ওপেনার ফিলিপ সল্ট ও জস বাটলার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। কিন্তু জাম্পার বলে সল্ট আউট হলে খেই হারায় ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি তারা, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৬৫ রানে। সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে। সল্ট করেছেন ৩৭ রান।
দারুণ বল করা অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও জাম্পা। একটি করে উইকেট গেছে হ্যাজলউড ও স্টয়নিসের দখলে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া পায় উড়ন্ত সূচনা। আইপিএলের ফ্ল্যাশব্যাক দেখা যায় পাওয়ার প্লেতে। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড মাত্র পাঁচ ওভারে তুলে ফেলেন ৭০ রান। তবে দুজন পরপর বিদায় নিলে রানের গতি কিছুটা কমে আসে।
হেড ১৮ বলে ৩৪ ও ওয়ার্নার ১৬ বলে করেন ৩৯ রান। এরপর অন্য ব্যাটসম্যানরা কমবেশি অবদান রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। অধিনায়ক মার্শ করেন ২৫ বলে ৩৫ রান। ১৭ বলে ৩০ রান আসে স্টয়নিসের ব্যাট থেকে। ২৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।
এসব মাঝারি ইনিংস মিলিয়ে ২০১ রানের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। যেটি শেষপর্যন্ত ইংল্যান্ডের সাধ্যের বাইরে বলেই প্রমাণিত হয়৷