লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে কৃষক আহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বিবৃতি শনিবার তিনি বলেছেন, সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক বাংলাদেশিদের হত্যা ও আহত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নির্বিকার। আর সে কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার যেন উৎসব শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে ফসলের মাঠে কাজ করা এক কৃষকের ওপর গুলি চালায় বিএসএফ। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৩ নম্বর মেইন পিলারের ৮-৯ সাব পিলারের মাঝামাঝি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষকের নাম আলতাফ হোসেন (৫৩) । তিনি ওই এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশটিতে সফরের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগের দিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কতৃর্ক তিনজন বাংলাদেশীকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হলো যে, সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক বাংলাদেশিদের হত্যা ও আহত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নির্বিকার। আর সে কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার যেন উৎসব শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নারীদের উপরও গুলি চালিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন এবং হত্যা ও আহত করার ধারাবাহিকতা এখন পর্যন্ত পুরোদমে চলছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার নতজানু নীতির কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণের জানমালের নিরাপত্তার তোয়াক্কা করে না।
ফখরুলের অভিযোগ, শুধুমাত্র অবৈধ ক্ষমতাকে দখলে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে উজাড় করে দিয়ে দেশকে একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই কেবলমাত্র দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।