যেকোনও বয়সের মানুষ ধূমপানের আসক্ত হতে পারে এবং সেটি বাড়তে থাকে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন না। আর এই অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান হার্ট কিংবা ফুসফুসের রোগ অথবা ক্যানসারের কারণ। ধূমপানের কারণে দেশে ৫৩% মানুষ মারা যান।
চিকিৎসক আরাধনা রেড্ডি ( রেটিনা বিশেষজ্ঞ ) বলছেন, বেশিরভাগ মানুষ এটাই মনে করেন যে ধূমপান শুধু হার্ট কিংবা ফুসফুসের ক্ষতি করে তবে তারা এটি ভুলে যায় যে এই সিগারেটের ধোঁয়া মারাত্মক ভাবে চোখের ক্ষতি ঘটায়। অনেক সময় দেখা যায় এই ধোঁয়া চোখের আশেপাশে গেলেই জ্বলতে থাকে, মাঝে মাঝে টপটপ করে জল পড়ে। এটিই চোখের ওপর প্রভাবের প্রথম লক্ষণ।
আবার অনেক সময় চিকিৎসকরা এমনও বলেন, যে সিগারেটে যে টক্সিন থাকে সেটি শরীরের রক্তনালী, কোষ এবং অন্যান্য সব অন্ত্রের সঙ্গেই চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে। তার মধ্যে চোখ শুকিয়ে যাওয়া, লাল ভাব , ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথি, ক্যাটারাক্ট ছাড়াও নানান অপটিক নার্ভ ইস্যু এবং যদি সঠিক সময় চিকিৎসা না হয় তবে এর কারণে সম্পূর্ন অন্ধত্ব অবশ্যই দেখা দিতে পারে।
গ্লুকোমা:- গ্লুকোমা তখনই দেখা যায় যখন নানা কারণে চোখের ওপরে চাপ পরে, বিশেষ করে চোখে ফ্লুইডের মাত্রা বেড়ে গেলে সেই থেকেও গ্লুকোমা হতে পারে। ধোঁয়া চোখে বেশি হলে, তার থেকে লাল ভাব, চোখে জ্বলুনি এগুলো দেখা যায়।
ক্যাটারাক্ট:- ধূমপান এই সমস্যার সূত্রপাত করতে পারে সহজেই। ধোঁয়ার আঘাতে সহজেই, চোখে আস্তরণ পড়তে পারে। এটি বয়স বাড়লে আরও গাঢ় হতে থাকে।
কীভাবে চোখের যত্ন নেবেন?
প্রথম তো, ধুমপানের মাত্রা কম করতে হবে। কারণ এটিই যত নষ্টের গোড়া। কারণ ধূমপান কম করলে শুধু নিজের যে উপকার হবে এমন নয়, বরং এর থেকে অন্যের উপকারও হবে।
হেলদি ডায়েট :- পুষ্টিকর ডায়েট খুব দরকারি। ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ছাড়াও ফ্যাটি অ্যাসিড খুব ভাল কাজ করে। এগুলি চোখে অসুখের মাত্রা একেবারেই কমায়।
স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দেয় :- ধূমপান ছাড়াও একনাগাড়ে স্ক্রিনের দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকার ভাব কমিয়ে দিতে পারে। বেশিক্ষণ চকচকে দিকে তাকিয়ে থাকলে খুব মুশকিল। এতে চোখে খুব চাপ পড়ে। বিশেষ করে নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকা কম করুন, এতে ক্ষতি হয়।
চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করা, ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া খুব দরকারী। চোখের মণি থেকে যাতে টক্সিন বেরিয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রাজশাহীর সময় / এএইচ