শেখ হাসিনার মন্তব্য ও ড. ইউনূস প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 05-06-2024

শেখ হাসিনার মন্তব্য ও ড. ইউনূস প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয় এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন) এ বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ লোক তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল - তিনি যদি বাইরের কোনো দেশকে বিমানঘাঁটি করার সুযোগ দেন তাহলে বিনা চাপে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করা এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। আপনি যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের দাবি করছেন; শেখ হাসিনা কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে খুব বেশি তীর ছুড়ছেন?

জবাবে মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এই মন্তব্যগুলো কাদের ইঙ্গিত করে করা হয়েছে। তবে যদি এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় - তবে আমি বলবো মন্তব্য সঠিক নয়।

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন- নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত রোববার আদালতকক্ষে আসামিদের অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো ঘেরে প্রবেশ করে বলেছিলেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে আছেন। একইভাবে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, আইনের শাসন এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমরা দেখেছি আপনি কিছু নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যার মধ্যে তাত্ক্ষণিকভাবে আছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধান। আপনি কি মনে করেন গত বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটা যথেষ্ট হবে? নাকি আপনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন, যেমনটা আপনি আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অনুমিত অপব্যবহার আইনের শাসন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

তিনি বলেন, আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ড. ইউনূসের জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা অব্যাহত রাখবো। তবে আমার কাছে পূর্বরূপ দেখানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নেই।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]