যেসব আমল করলে হজের সওয়াব পাবেন


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 05-06-2024

যেসব আমল করলে হজের সওয়াব পাবেন

হজ ইসলামের ফরজ বিধান। সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। কবুল হজ মানুষের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেয়।

রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা করো, কেননা এ দুটি দারিদ্র্য ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাঁপর লোহা, স্বর্ণ ও রৌপ্যের ময়লা দূর করে। আর হজে মাবরুর (মকবুল হজ)-এর বিনিময় জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৭)

এর বাইরেও কেউ চাইলে নফল হজ আদায় করতে পারেন। তবে কোনো ব্যক্তির হজ করার সামর্থ্য না থাকলে তিনি চাইলে কিছু আমলের মাধ্যমে হজের সওয়াব পেতে পারেন। এমন কয়েকটি আমল হলো—

>> ফজরের পর থেকে ইশরাক পর্যন্ত আল্লাহর জিকির করা। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকির করে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তবে আল্লাহ তাকে একটি সম্পূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব দেবেন।’ (তিরমিজি)

>> জ্ঞান অর্জন করা। আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুধু উত্তম বস্তু শেখার উদ্দেশ্যে মসজিদে যায় অথবা তা শেখাতে যায়, তবে সে একটি পূর্ণ হজের সওয়াব পাবে।’ (তাবারানি)

>> জামাতে নামাজ আদায় করা। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ কি তোমাদের এশার নামাজ দেননি, যা জামাতে আদায় করলে হজের সমান সওয়াব এবং ফজরের নামাজ, যা জামাতে আদায় করলে ওমরাহর সমান সওয়াব?’ (মুসলিম)

>> মা-বাবার খেদমত করা। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর খেদমতে এসে বলল, ‘আমার জিহাদ করতে খুব আগ্রহ, কিন্তু সামর্থ্য নেই।’ নবী (সা.) বললেন, ‘তোমার মা-বাবা দুজনের কেউ জীবিত আছেন কি?’ বলল, ‘আমার মা জীবিত আছেন।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করো। এটা যদি করতে পারো এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তুমি হজ, ওমরাহ ও জিহাদের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা)


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]