সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার ফসল রক্ষার জন্য বেরী বাঁধ নির্মাণ করতে সরকার কর্তৃক ১২০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। কিন্তু হাওরের বেরী বাঁধ নিমার্ণ কাজের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে সামান্য বৃষ্ঠিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ঝুকি মুখে পড়েছে জেলার হাওর এলাকার লক্ষলক্ষ হেক্টর সোনালী ধানের জমি। ইতিমধ্যে বেরী বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে একাধিক হাওর।
রবিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্থির দাবীতে ও তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আঞ্চলিক কৃষক সংগঠন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটি।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তরা বলেন- হাওরের ফসল রক্ষার জন্য বেরী বাঁধ নির্মাণ করতে সরকার যে অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে তা দিয়ে সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মাণ না করার কারণে গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে জেলার তাহিরপুর উপজেলার রামসা প্রকল্পের টাংগুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির সোনালী ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমান চরম ঝুকির মুখে রয়েছে এউপজেলার শনির হাওর ও মাতিয়ান হাওরসহ আরো অনেক ফসলী জমি। সামান্য বৃষ্ঠিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে এখনই যদি হাওর পানিতে তলিয়ে যায় তাহলে জেলার লক্ষলক্ষ কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে। সময় মতো হাওরের বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার শতাধিক হাওরের বোরো ফসল অরক্ষিত রয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে ফসল ডুবির দায় সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী প্রদান করেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
উক্ত মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন- হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা প্রমুখ।