চাঁদা দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ জাতীয় চার নেতার ম্যুরালের কাজ বন্ধ করেছে একদল অজ্ঞাত যুবক।
রবিবার (২৬ মে) সকাল ১১টায় মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একাধীক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পাউবোর সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের পক্ষ থেকে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
এ ব্যপারে (পাউবো, উপ-সহকারী প্রকৌশলী) সুকেশ কুমার জানায়, গত (২৬ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যান্তরে, রাজশাহীর প্রধান ফটকের বাম পাশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান—সহ জাতীয় চার নেতার ম্যুরালের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ২০/২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ওই সময় ঠিকাদার প্রতিনিধির কাছে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে নির্মাণাধীন কাজ করা যাবে না এবং চাঁদা দেওয়ার পরে কাজ শুরু করবে এবং ব্যর্থ হলে হত্যার হুমকি দেয়। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় ঠিকাদার কোম্পানির আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার মিশ্রিত সিমেন্ট ও বালি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধায় নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করার কথা ছিলো পাউবো কতৃর্পক্ষের। তবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঢাকায় থানায় মামলাটি পরে করা হবে বলে জানায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুকেশ কুমার।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং উর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন। তবে মামলা করবেন কি না ? এমন প্রশ্নে তালবাহানা করেন তিনি।
মোঃ রিফাত করিম (উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, পাউবো) জানান, মামলা না হওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই, বলেই ফোন কেটে দেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে, বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, চাঁদা দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ জাতীয় চার নেতার ম্যুরালের কাজ বন্ধের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পাউবো অফিসে গিয়েছিলাম। কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। সন্ধায় থানায় মামলা দেবেন বলেছিলেন, পাউবোর উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রিফাত করিম।
রাত ৮টায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী পাউবো, সুকেশ কুমার থানায় এসে লিখিত দিয়েছেন। তারা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানাবেন।