রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কলমা ইউনিয়ন (ইউপি) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভির রেজা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে তানভির রেজা (চশমা) প্রতিক নিয়ে মোট ৪৪ হাজার ৮০১ ভোট পেয়েছেন, এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৬ হাজার দুশ' ভোট তার বৈধ ভোটের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৬০১টি। এবার প্রায় ৪২ দশমিক ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। শতাংশের হিসেবে তানভির প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। যদিও মাঠে একটি পক্ষ তানভিরের বিজয় ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।এদিকে উপজেলা নির্বাচনে একবারে নতুন মুখ বয়সে তরুণ ও কনিষ্ঠ প্রার্থী তানভির রেজার এমন নিরঙ্কুশ বিজয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। ইতমধ্যে অনেকে তাকে আগামির নেতৃত্ব হিসেবে বিবেচনা করছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, অন্যরা যখন ভোটের মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন, নেতাকর্মী ও বিপুল অর্থ নিয়ে ভোট করেছেন। যাদের ছিল রাজনৈতিক কর্মী বাহিনী। কিন্ত্ত তখনও ব্যতিক্রম ছিলেন তানভির রেজা। তার কর্মী বলতে ছিলো কিছু নিকট আত্মীয় ও এলাকার ছোট ভাই। তিনি নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত্য একাই প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলকে অবাক করে দিয়েছেন। ভোটের মাঠে তার একটাই পরিচয় ছিলো, সেটা হলো তিনি স্থানীয সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর একজন ক্ষুদ্র কর্মী। তার নেতা বা অভিভাবকও সাংসদ। এই ফলাফল তানভির রেজার প্রতি সাধারণ মানুষের নিখাত ভালবাসার বিহঃপ্রকাশ। যা অর্থ বা অন্য কিছু দিয়ে পাওয়া যায় না। কনিষ্ঠ তানভির রেজার এই মহাবিজয় থেকে বয়োজ্যেষ্ঠদের অনেক কিছু শেখার আছে। রাজনীতিতে ইতিবাচক কিছু করতে চাইলে। অহংকার, ক্ষমতার বড়াই, অন্যকে অসম্মান, কুট-কৌশল, হিংসা, হুমকি-ধমকি বা অর্থ দিয়ে নয়, ভাল আচার-আচরণ ও সম্মান দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে পৃথক জায়গা করে নিতে হয়। ইতোমধ্যে যেটা করে দেখিয়ে দিলেন তানভির রেজা। তানোর উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকে তানভির রেজাকে নতুন চমক হিসেবে দেখছেন।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তানভির রেজা বলেন, এই জয় উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার সাধারণ মানুষের জয়, তিনি বলেন, তাকে কেউ স্যার-মহোদয় সম্বোধন করে ছোট করবেন না, তিনি সকলের কাছে ছোট ভাই বা এলাকার সন্তান হিসেবে থাকতে চান। তিনি স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এমপি মহোদয় তার নেতা ও অভিভাবক। তিনি যেভাবে নির্দেশনা বা পরামর্শ দিবেন তিনি সেভাবে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, উপজেলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা বিস্তার, মাদক প্রতিরোধ, শতভাগ স্যানিটেন, বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা ও সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণের মাধ্যমে তানোরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সকলের সঙ্গে কাজ করবেন।