ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে তা শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগাতে কাজ করে। ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বিও পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিমে থাকে। ডিমে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে এবং তাই ডিমের কুসুম কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে ডিম গরম প্রকৃতির, তাই গ্রীষ্মে ডিম খাওয়া এড়ানো উচিৎ। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক, ডিম খেলে সত্যিই শরীরের তাপ বাড়ে কি না এবং অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার অসুবিধাগুলি।
ডিম হল পুষ্টির ভান্ডার। এতে প্রোটিন,ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি ১২,ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সহ অনেক খাদ্য উপাদান পাওয়া যায়। এটি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আরোগ্য হেলথ সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ডক্টর ভিডি ত্রিপাঠী বলেন, "ডিম প্রকৃতিতে গরম,তাই এটি শুধুমাত্র সুষম পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। গ্রীষ্মের মরসুমে অনেক বেশি ডিম খেলে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এটা নয় যে ডিম খাওয়ার সাথে সাথেই আপনার শরীর গরম হয়ে যায়। গ্রীষ্মের মরসুমে ডিম হজম হতে দেরি হয়,যার কারণে পেটে তাপ বাড়তে পারে"।
ডিম প্রোটিন,ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি ১২ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সহ বিভিন্ন পুষ্টির উৎস। এই সমস্ত পুষ্টি আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিমে ভালো পরিমাণে প্রোটিন থাকে,যা পেশী তৈরিতে সাহায্য করে এবং পেশীকে শক্তিশালী করে।
আপনি প্রতিদিন কতটা ডিম খেতে পারেন?
ডিম খাওয়া পেশীর বিকাশে এবং শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে উপকারী। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ২ থেকে ৩টি ডিম খাওয়া উচিৎ। যারা জিমে ব্যায়াম করেন বা অ্যাথলেট তাদের বেশি প্রোটিন প্রয়োজন। এই ধরনের মানুষ দিনে ৪ থেকে ৫টি ডিম খেতে পারেন। যারা নিয়মিত ডিম খান তাদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিৎ। এছাড়া যাদের হার্ট বা কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের দিনে ২টির বেশি ডিম খাওয়া উচিৎ নয়।
বাতের ব্যথায় ডিম খাওয়া যাবে কি না?ডায়েটিশিয়ানের থেকে জেনে নিন - শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। হার্টের রোগীদেরও বেশি ডিম খাওয়া নিষেধ। যে কোনও রোগ বা সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডিম খাওয়া উচিৎ নয়।