প্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায় ও পাপাচারের দিকে ধাপিত করে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে করিম সা. বলেছেন, জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় কাজকর্ম দিয়ে আর জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে নিরস কাজকর্ম দিয়ে। (বুখারি, হাদিস : ৭/২৪৫৫)
নফস বা প্রবৃত্তির চাহিদা দমন করে চলতে পারা প্রকৃত মুমিনের পরিচয়। প্রবৃত্তির চাহিদাকে দমন করতে পারা ব্যক্তির জন্য পরকালে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
‘আর যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে; জান্নাতই হবে তার আবাস।’ (সূরা আন-নাজিয়াত, আয়াত : ৪০-৪১)
আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের ভয়ে নিজেকে পুতঃপবিত্র রাখে। মনের ইচ্ছা ও চাহিদার বিরুদ্ধে গিয়ে পাপকাজ থেকে মুক্ত থাকে তার জন্য হাদিসে নেকি লাভের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
এক হাদিসে কুদসিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ।
আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে, তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
আবু আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যখন নেকি করার ইচ্ছা করে আমি তার জন্য একটি নেকি লিখি যতক্ষণ সে না করে, যখন সে করে আমি তার দশগুণ লিখি।
আর যখন সে পাপ করার ইচ্ছা করে আমি তার জন্য তা ক্ষমা করি যতক্ষণ সে না করে, অতঃপর যখন সে তা করে তখন আমি তার সমান লিখি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফেরেশতারা বলে, হে আমার রব আপনার এ বান্দা পাপ করার ইচ্ছা করে, -যদিও আল্লাহ তাকে বেশী জানেন- তিনি বলেন, তাকে পর্যবেক্ষণ কর যদি সে করে তার জন্য সমান পাপ লিখ, যদি সে ত্যাগ করে তার জন্য তা নেকি লিখ, কারণ আমার জন্যই সে তা ত্যাগ করেছে ।