স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই: এমপি বাদশা


মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: , আপডেট করা হয়েছে : 14-05-2024

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই: এমপি বাদশা

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান বাদশা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট মানুষ প্রয়োজন, স্মার্ট শিক্ষার্থী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১২ টায় রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাননীয় সাংসদ। রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ শুরু করেন, তখন উন্নয়ণ বিরোধী শক্তি কটুক্তি করে বলতো ডিজিটাল আলু-বেগুনের দাম কত? এখন আর তাদের মুখে কথা বের হয় না। কারণ  তারাও জিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। আর স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক মানে এই নয় যে টাইটুই লাগিয়ে, হাফ প্যান্ট পরা স্মার্ট। আজ আমাদের সবার হাতে হাতে মুঠোফোন। কৃষকরাও মুঠোফোন ব্যবহার করছে।  আজ ঘরে ঘরে জিজিটাল ডিভাইস। সরকারি প্রায় সকল সেবা আজ জিজিটাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল ল্যাব। বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে স্মার্ট গভারনেন্সের সুবিধা পাচ্ছি। এতে আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে।  তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল বাঁধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মধ্যে দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

এসময় বিনামূল্যে ফাইবার ক্যাবল স্থাপনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মো. শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, একটা সময় বিনা পয়সায় আমাদের ফাইবার ক্যাবল দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে অজুহাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সে ক্যাবল স্থাপন করেন নি। সে সময় ক্যাবল স্থাপন হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো।

বক্তব্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষক সমাজের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মাননীয় সাংসদ বলেন, এটা সত্য যে আমাদের বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষায় বাজেটের আকার বাড়ে নি। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমি মহান সংসদেও সোচ্চার রয়েছি। এসময় রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

এদিকে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাননীয় সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। শেষে সম্মাননা স্মারক প্রধান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শওকত আলী খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আব্দুল খালেক, নিউ গভ.মেন্ট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কালাচাঁদ শীল, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নির্বাচন কমিশনার ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন শাহ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]