অসুস্থ রেলকে সুস্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলযোগে আম পরিবহন বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এক সময় রেল ধুঁকে ধুঁকে চলেছে। অনেক জায়গায় রেললাইন খুলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। লাইন তুলে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। দক্ষ কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে বিদায় করা হয়েছে। নানাভাবে আমরা আউট সোর্সিংয়ে লোক নিয়ে কাজ চালাচ্ছি। লোক নিয়োগের জন্য কাজ শুরু করেছি, সময় লাগবে।
তিনি বলেন, রেলপথ অসুস্থ। অসুস্থ লোকের দিক থেকে মুখ সরিয়ে নিলে হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সুস্থ করার কাজ চলছে। কিন্তু সময় লাগবে।
মন্ত্রী বলেন, আম এমন একটি জিনিস, যেটি পচনশীল। এটি যেমন সুস্বাদু তেমন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আম পরিবহন খুবই সেনসিটিভ। ট্রাকে করে পাঠাতে তিন থেকে ৪ টাকা পড়ে। রেলে আম পরিবহন করতে সেটি সেভ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটির ব্যবস্থা করেছেন আপনাদের জন্য। সমস্যা থাকবেই। একটা কিছু শুরু করলে সমস্যা হবে। ত্রুটি থাকবে। সেগুলো আমরা সমাধান করবো। ডাবল লাইন একদিনেই হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। অনেকগুলোর প্রকল্প প্রণয়ন করছি। আপনাদের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, আগেতো প্রতিটি ট্রেনে লাগেজ ভ্যান ছিল। এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে থাকে না। এটা লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। এসি ভ্যান আছে। সেগুলোতে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা শুনেছি রাজশাহীতে বেশি পান হয়। পান পরিবহন আমরা করতে পারবো। অনান্য শষ্যগুলো আমরা পরিবহন করবো।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরকার শাহাদাৎ আলী বলেন, আপনারা যা কিছু বলেছেন আমরা নোট করে নিয়েছি। এই সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া হবে। ৩৮টি লাগেজ ভ্যান আছে, ১২টি এসি লাগেজ ভ্যান আছে। আন্তঃনগর ট্রেনে এগুলো আমরা লাগাবো। আমরা শুধুমাত্র ডোর টু ডোর করতে পারছি না। সেটিও আমরা পাঠাও বা অন্যান্যদের সঙ্গে চুক্তি করে ডেলিভারি সক্ষম হবো।
সেমিনারে রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোরের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।