রাজশাহী মহানগরীতে বান্ধবীর ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তিন বন্ধুর মধ্যে মারামারী ও ছুরিকাঘতে ঘটনা ঘটেছে। এতে আহনাফ (১৭), সিয়াম (১৬) ও বাঁধন (১৭) নামের তিনজন আহত হয়েছে। তারা সকলেই মতিহার থানার মির্জাপুর এলাকা বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরী স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
বুধবার সকালে উভয়পক্ষের অভিভাবক বাদী হয়ে মহানগরীর মতিহার থানার পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিন সকাল ৮টায় নগরীর মতিহার থানার তালাইমারী ট্রাফিক মোড় থেকে সিয়াম ও বাঁধনকে গ্রেফতার করেছে মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পলাশ, এসআই সুভাষ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেফতারকৃত সিয়াম, সে একই থানার ধরমপুর আলমের মোড় এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে ও মোঃ বাঁধন, সে নগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়া এলাকার বাবুল খানের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ মোবারক পারভেজ। তিনি জানান, গত (৫ মে) স্কুল ছাত্র বাঁধন তার বান্ধবীর ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করে। এ নিয়ে আহনাফ স্কুলের প্রিন্সিপালকে জানায়। স্কুলের প্রিন্সিপাল ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাঁধন ডিলিট করার কথা বলে ক্লাশে যায়। স্কুলের প্রিন্সিপালকে অভিযোগ করাকে কেন্দ্রকে এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সিয়াম, বাঁধন ও আহনাফ। তাদের তিন জনের মধ্যে স্কুল গেেইটে মারামারী ও ছুরিকাঘাতে ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা তিনজনই আহতে হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিভাবকরা থানায় এসে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিয়াম ও বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী অক্ট্রয় মোড়ের বাসিন্দা চা দোকানী চাঁদের ছেলে আহনাফ (রামেকে) চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। চিকিৎসা শেষে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।